প্রকাশিত,২৯, জানুয়ারি,২০২৪
পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরীঃ
চট্টগ্রামের পটিয়া কওমী মাদ্রাসার মহা পরিচালক নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দফায় দফায় হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। হামলা করতে এসে মাদ্রাসার ছাত্ররা আটকে রাখেন মোহাম্মদ আনাস, মো: ইব্রাহিম, মো: মফিজ, কুমাইদ, ওবায়দুল হক ও শহীদ সিদ্দিকীকে। উত্তপ্তের কারনে থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌছতে পারেনি। মাদ্রাসার মহা পরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামজাকে সরিয়ে নতুন মহা পরিচালক আবু তাহের নদভীকে দায়িত্ব দেওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল ১০ টায় দু'পক্ষের মধ্যে এ উত্তেজনা চলে৷ বিষয়টি নিরসনের জন্য পটিয়া উপজেলা যুবলীগ সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ডিএম জমির উদ্দিন দফায় দফায় উদ্যােগ গ্রহণ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সুএে জানায়,গত ২/৩ মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে এ উত্তেজনা চলছে। তবে আপোষ মিমাংসার আশ্বাস দেওয়ায় রবিবার দুপুর ২ টার দিকে সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেওয়া হয়৷ দু'পক্ষের হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ২০জন। তারা হলেন- মাদ্রাসার ছাত্র খালেদ, আরজ, আজাদ, তানজিদ, আবদুল্লাহ, আতাউর রহমান, ইমরান, আয়ুব, রিয়াদ, তালহা। তাদের অনেকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, পটিয়া মাদ্রাসার মহা পরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামজার পরিবর্তে মহা পরিচালক হিসেবে আবু তাহের নদভীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ নিয়ে আবু তাহের নদভী ও ওবায়দুল্লাহ হামজার দুইগ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসচ্ছিল। শনিবার রাতে মাদ্রাসার তথাকথিত শুরা কমিটির জরুরি বৈঠকের প্রচার করা হয়৷ কিন্তু কোন শুরা কমিটির কোন বৈঠক হয়নি। এ নিয়ে এক দফায় রাতে ও পরে রবিবার সকাল ১০ টার দিকে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বহিরাগত লোকজন এনে হামলা করার অভিযোগে ৬জনকে মাদ্রাসার অন্য ছাত্ররা আটকে রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০ টার দিকে মুখোশপরিহিত ৪০/৫০ জন যুবক কিরিচ, লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসায় হামলা করে। হামলা করতে এসে ছাত্রদের হাতে ৬ জন আটকে রাখে৷ আটককৃতরা থানায় মুচলেখা দিয়ে চলে যায়৷
এদিকে, মাদ্রাসা সংরক্ষণ পরিষদের উদ্যােগে বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷
এসময় মাদ্রাসা সংরক্ষণ পরিষদের আনোয়ার হোসেন রব্বানী বলেন, অর্থ কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার কারনে মাদ্রাসার মহা পরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামজা মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে চলে যান। মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটানোর চেষ্টা করছেন। তার পুর্ব পুরুষ রোহিঙ্গা। প্রায় তিন মাস ধরে ওবায়দুল্লাহ হামজা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। মাদ্রাসার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
সেলিম চৌধুরী
পটিয়া প্রতিনিধি
পটিয়া চট্টগ্রাম