নোয়াখালী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের দিকে ঝুঁকছেন ভোটাররা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-১২-২৫, ৯:৩৭ অপরাহ্ন /
নোয়াখালী-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের দিকে ঝুঁকছেন ভোটাররা।

প্রকাশিত,২৫,ডিসেম্বর,২০২৩

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালীর ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে যারা লড়ছেন তাদের সিংহভাগই আওয়ামী লীগের। ফলে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামী লীগের এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর দিকেই নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটার বেশি ঝুঁকছেন।

আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য নৌকার মনোনীত প্রার্থী মোরশেদ আলম এমপি, যে আপিল করেছিলেন মহামান্য হাইকোর্ট সেই আপিল খারিজ করে দিয়েছেন।প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়ে আতাউর রহমান মানিক জানান,আমার প্রার্থীতা সম্পূন্ন বৈধ বলে আমি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জনগন কাঁচি’কে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাবে এটা আমি আশাবাদী।আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় নোয়াখালীর-২ আসনের ভোটাররা এখন উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত।

হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগ থেকে বারবার বিপুল ভোটে বিজয়ী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসন থেকে এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে অগ্রহায়ণের মিষ্টি রোদে জেলাজুড়ে ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।টানা দুইবার তিনবারের এমপিরা এতদিন তৃণমূলকে তেমন মূল্যায়ন করেননি।কমিটি হওয়ার পথে বাধা দিয়েছেন এমপিরা। নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তারা।স্থানীয় নেতাদের অনেকে এমপি দ্বারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছেন। ত্যাগী ও প্রবীণ নেতাদের অবমূল্যায়ন করে হাইব্রিডদের গুরুত্ব দেওয়া এবং দলীয় নেতাকর্মীদের নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বাড়িঘর ছাড়া করার অভিযোগ রয়েছে। ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ পরিবর্তনের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনে ভোটের মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।সবাই একাট্টা হচ্ছেন বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিযোগিতা করার একটা সুযোগ দিয়েছেন। এই সুযোগের অপব্যবহার যেন কেউ না করেন। এখানে জোরজবরদস্তি করবেন, নৌকার সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করবেন সেটা হবে না। শৃঙ্খলার সঙ্গে থাকতে হবে। প্রতিযোগী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে, কেউ গায়ের জোর খাটাবেন না; আমরা এটা সহ্য করব না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা উন্মুখ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে উঠতি বয়সের ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ইতোমধ্যেই প্রার্থীরা উঠান বৈঠক করে কেন্দ্রভিত্তিক ভোটার সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আওয়ামী লীগসহ প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগ থেকে নোয়াখালী-২ আসনে মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি মোরশেদ আলম নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য দলের প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক ও শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রত্যাশা। জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে সকল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহযোগিতা করতে চাই। ভোটাররা যেন নির্বিগ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে,সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সকল সংগঠন ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করছে।

এই আসনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মানুষ ব্যক্তির পরিবর্তন চায়,পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে, চায়ের দোকানে নির্বাচনী আমেজে হিসাব কষতে দেখা যায়। তবে এই হিসাবে এখন পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি মার্কা নিয়ে আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক এগিয়ে আছে।

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের কাঁচি মার্কা সমর্থনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু জাফর টিপু এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সিহাব উদ্দিন।
গত রবিবার দুপুরে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের নিকট প্রতিনিধির মাধ্যমে এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর টিপু এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী সিহাব উদ্দিন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে গণমাধ্যম’কে নিশ্চিত করেন।

এছাড়াও তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি সমাজসেবক ও দানবীর আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিককে সমর্থন করে তার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।মানিকসহ অন্যরা বাফুফের) সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিককে সমর্থন করে তার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।

আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক সোনাইমুড়ি সেনবাগের নিরীহ জনগনের কাছে নিরহংকারী মানবিক নেতা হিসেবে পরিচিত।পুরো নোয়াখালির সর্বসাধারণ আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক’কে দানবীর ও হ্যামিলনের বাঁশিয়ালার উপাধী দিয়েছেন।

আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের ভিন্নধর্মী মহতি উদ্দ্যোগ সুধু নোয়াখালী নয় সারাদেশ ব্যাপি বেশ প্রশংসিত হয়েছেন।ব্যক্তি উদ্যোগে নিজ অর্থায়নে জমকালো আয়োজনে নোয়াখালী চার শতাধীক দায়গ্রস্ত হতদরিদ্র বাবার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন ।বিয়ে দেওয়া মেয়ের বেকার স্বামী’কে নিজ প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপে চাকুরীর ও ব্যবস্থা করেছেন ।করোনায় ৫০ হাজারের বেশী পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা করেছেন।বছরে দুই ঈদে গ্রামে অসংখ্য গরীব অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে পুরুষদের লুঙ্গী ও পান্জাবী মেয়েদের থ্রী-পিস ও শাড়ি উপহার দিয়েছে তিনি।

এই বিষয়ে আতাউর রহমান ভূঁইয়া কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আল্লাহ আমাকে যতক্ষণ সামর্থ্য দিয়েছেন ততক্ষণ আমি এই কাজ চালিয়ে যাব।এছাড়া বরদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য চাকরি প্রদান,নগদ অর্থ অনুদান দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। মানিক সবাইকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।