নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুলের অপসারণের দাবি।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৮-১৫, ৯:২০ অপরাহ্ন /
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আতিকুলের অপসারণের দাবি।

প্রকাশিত,১৫,আগস্ট

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর অপসারণ দাবি করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। ভিসি অধ্যাপক আতিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, নৈতিক চরিত্রস্খলন এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের নিপীড়নের অভিযোগ জানিয়ে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘেরাও করে এবং ভিসি আতিকুল ইসলামের খোঁজ করে। ভিসি আতিকুল ইসলামকে না পেয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ভিসিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে ভিসির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কার দাবিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। আন্দোলনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এর বেশ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। গ্রেফতার এবং পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয় শতশত শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা ভিসির বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের ভিডিও ফুটেজ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার অভিযোগ করেছে। সে স্বৈরাচারীর দোসর, একজন মুখোশধারী এবং দুর্নীতিবাজ। অভিভাবকরা শীঘ্রই বর্তমান উপাচার্যকে অপসারণ করে শিক্ষা স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানা যায়। কিন্তু তার নির্দেশ উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন অধ্যাপক আতিকুল সবসময়ই স্বেচ্ছাচারী ছিলেন। ভুক্তভোগী ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অবৈধ ভিসি অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের আচার-আচরণে অতিষ্ঠ।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, অবৈধ উপাচার্য যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে তাকে বিদায় করা হবে। ভিসি অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি যেকোনো মুহূর্তে দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলেও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।