প্রকাশিত,২৩, এপ্রিল,২০২৪
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের নকলায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (প্রাক্তন টিএফপিএ) মো. দিদারুল আল আমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রায়হানুল ইসলাম।
শ্রীবরদী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. ইসমাইল হোসেনকে আহবায়ক ও নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হাদিউল ইসলামকে সদস্যকে দুই সদস্য বিশিষ্ট গঠন করেন জেলার এ কর্মকর্তা। রোববার (২১ এপ্রিল) নকলায় সরেজমিন তদন্তে আসেন তন্তকারী দল।
তদন্তকারী দল সূত্রে জানাযায়, নকলায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (প্রাক্তন টিএফপিএ) মো. দিদারুল আল আমিনের বিরুদ্ধে জেলা কর্মকর্তা বরাবরে তাদের পোশাক ভাতা, স্যাটেলাইট ক্লিনিকের ভাতা/টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ করেন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা হাসিনা খাতুন, অনামিকা দেবনাথ, রমা রানী সাহা, আয়া মাজেদা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, শাহিদা বেগম, নিরাপত্তা প্রহরী মতিউর রহমান, আনোয়ার হোসেন ও দীপক দাসসহ মোট ৯ জন কর্মচারী। আজ সেটারই তদন্ত হচ্ছে।
পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা হাসিনা খাতুন, অনামিকা দেবনাথ, রমা রানী সাহা বলেন, দিদারুল আল আমিনের সাথে আমাদের কোন লেনদেন নেই। আমাদের কোন অভিযোগ থাকলে উপজেলা কর্মকর্তার নিকট আগে অভিযোগ করতাম। আমরা লিখত বা মৌখিক কারো কাছে কোন অভিযোগ করিনি। এ সংক্রান্তে আমাদের কোন অভিযোগ নেই।
আয়া মাজেদা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, শাহিদা বেগম বলেন, আমরা কোথাও কোন অভিযোগ করিনি। আমাদের আজ তদন্তকারীর স্যারেরা ডেকেছিল আমরা বলেছি আমরা অভিযোগ করিনি ও আমাদের কোন অভিযোগ নেই। নিরাপত্তা প্রহরী মতিউর রহমান, আনোয়ার হোসেন ও দীপক দাস বলেন, আমাদের পোশাকের টাকা মেরে গেলে তাহলে আজ পোশাক পরে তদন্ত কমিটির সামনে আসলাম কেমনে। আমরা কোথাও কোন অভিযোগ করিনি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী (প্রাক্তন টিএফপিএ) মো. দিদারুল আল আমিন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে মিথ্যা হয়রানী করার জন্যই এমন মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়েছেন ডিডি স্যার। আমি তদন্তকমিটির কাছে অভিযোগকারীদের লিখিত অভিযোগের কাগজপত্র দেখতে চাইলে কিছু দেখাতে পারেনি। তদন্ত কমিটির স্যারেরা প্রথমে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবী করেন। টাকা দিলে আমার পক্ষে রিপোর্ট দিবেন। না দিলে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে আমার চাকরি খেয়ে নিবেন বলে এমন হুমকিও দেন। যে খানে আমি কোন অন্যায় করিনি সেখানে টাকা কেন দিব। অভিযোগকারী হিসেবে যাদের নাম বলা হচ্ছে তারা নিজেরাই বলতেছে আমরা কোথাও কোন লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করিনি। সরকারি বরাদ্দের যত টাকা উত্তোলন হয় সেটা আয়ন ব্যায়ন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে। আমার স্বাক্ষরে কি কোন টাকা উঠে। আর সে সময়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ আমার উপরে। এতে বুঝা যায় আমাকে হয়রানীর জন্য এসব করতেছে।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক শ্রীবরদী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, উপপরিচালক (ডিডি) মো. রায়হানুল ইসলাম স্যার আমাদের যেভাবে বলবে আমরা সেভাবেই কাজ করব। স্যারের কথার বাইরে আমরা যেতে পারব না। স্যার আমাদের তদন্তে পাঠিয়েছে তাই এসেছি। টাকা কেন চাইব। আমরা কারো কাছে কোন টাকা চাইনি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বলেন, অভিযোগকারী হিসেবে যে ৯ জনের নাম শুনা যাচ্ছে তারা আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি। প্রথমে আমাকে বলার কথা কিন্তু সেটাও করেনি। তবে আমি তাদের ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞাসা করেছি তারা কোথাও লিখিত বা মৌখিত কোন অভিযোগ করেনি। দিদারুল আলামিনের বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগ নেই। তদন্তকারী দলের কাছে আমি নিজেও অভিযোগের কাজগ দেখতে চেয়েছি। তারা দেখাতে পারেনি।
আপনার মতামত লিখুন :