প্রকাশিত,০৬,নভেম্বর
শেখ সেলিম রেজা,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাজীপুর শ্রীপুর পৌরসভার পৌর কর্মকর্তাদের প্রতি টেবিলেই চলে অনিয়ম আর দুর্নীতি। টাকা ছাড়া হয় না কোন কাজ,আর আংগুল ফুলে কর্মকর্তারা হয়েছে কলাগাছ।
অনিয়ম দুর্নীতি ও টাকা আত্মসাতের প্রথম সারিতে রয়েছে শ্রীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান ও তার অনুসারীরা সহ পৌর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে নানান অভিযোগ।
আর এমন চঞ্চলক ঘটনার তথ্য চলে আসে অনুসন্ধানী টিম জাতীয় শেষ সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধিদের হাতে। উক্ত চঞ্চলক ঘটনার তথ্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভাটি নাকি দুর্নীতিতেও প্রথম স্থানে রয়েছে বলে জানান পৌর এলাকার সুশিল সমাজের লোকেরা। তারা আরও জানান,কোন কাজ না করেই শুধুমাত্র কাগজে কলমে ব্যায়বীয় দেখিয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে লোপাট করেন তারা কোটি কোটি টাকা। বর্তমানে শ্রীপুর পৌরসভার কর্মরত পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি ছিলেন,(গ) শ্রেণীর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম,এখন হয়েছেন তিনি (ক) শ্রেণীর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান। শুধু তাই নয়,ভাগ্য বদলানোর সাথে সাথে বদলে গেল নিজের নামের অংশ, বলেছিলাম (ক) শ্রেণীর শ্রীপুর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার কথা।
অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে শ্রীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হাসান এবং সহকারি প্রকৌশলী তানভীর,উপ-প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ,কর আদায়কারী মোবারক হোসেন,লাইসেন্স পরিদর্শক বাবুল মিয়া এবং সার্ভেয়ার মোস্তফা,কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর পদে চাকুরী করেন জহির রায়হান,পৌরসভায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে জন্ম নিবন্ধন শাখায় কাজ করেন ফেরদৌস আহমেদ,সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক লিজাএবং তার স্বামী নকসা কারক জসিমসহ আরও অনেকেই তারা নানা দুর্নীতি আর অপকর্মের মাধ্যমে অটল সম্পদের মালিক হয়েছেন।এই কর্মকর্তাদের অনিম দুর্নীতির ধরন হচ্ছে, পৌরসভার জন্ম থেকে মৃত্যুসনদ,নাগরিক থেকে চারিত্রিক সনদ, ব্যাবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স, কারখানা মালিকদের কাগজ পত্র করতে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়,ময়লা পরিষ্কারের নামে অতিরিক্ত টাকার বিল ভাউচার করা,পৌরসভা ডিজিটাল ফ্ল্যাট ফর্মের এবং অনলাইন করার কথা বলে কাজ শেষ না করেই একাউন্ট অফিসার আব্দুল কুদ্দুস তিনি টাকা উত্তোলন করেন,পৌরসভায় জনবল নিয়োগ স্থগিত করা,টেন্ডার না দিয়ে কাজ করা, পৌরসভায় কোন নোটিশ বোর্ডে না ঠাংগিয়ে কাজ পরিচালনা করা এবং জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দিয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
উক্ত অনুসন্ধানে জানা যায়,শ্রীপুর পৌরসভার পৌর এক নাগরিকের রয়েছে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র।টাকা দিলেই নাকি শ্রীপুর পৌরসভায় মৃত ব্যক্তির ও খোঁজ মিলে এমনটার গুনজর উঠে এলাকাবাসীর মধ্যে। শ্রীপুর পৌরসভায় টাকা বিহীন নাগরিক সেবা না পাওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এমন নানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে এমন চঞ্চলক ঘটনার তথ্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায়,বিভিন্ন উপায়ে পৌরসভার মূল উৎস গোপন করে এক খাতের টাকা আরেক খাতে নিয়ে,সেই টাকা আবার আরেক খাতে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎসহ সহকর্মীদের সাথে বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগের পাহাড় গড়ে তুলেছে (ক)-শ্রেণীর ও (গ)-শ্রেণীর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হাসান ওরফে রফিকুল ইসলামের বিরোদ্ধে।
উক্ত অভিযোগের তথ্য খুঁজতে গিয়ে অনুসন্ধানী টিম হাতে বেড়িয়ে আসে নানান ধরনের অনিয়মের আমলনামা, বার্ষিক শত কোটি টাকা আয় করা শ্রীপুর পৌরসভার সিন্ডিকেট নাকি অসম্ভবকে সম্ভব করতেও অতিশয় দক্ষ।এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএমডিএফ এর অর্থায়নে প্রস্তুতকৃত বহেরারচালার আরসিসি রাস্তাটি কর্তন করা হলেও মেরামত হয়নি বিগত এক বছরেও। অথচ উক্ত রাস্তা মেরামতের জন্য এক্স সিরামিক্স ফ্যাক্টরি হতে কাজ শুরুর পূর্বেই পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করেন,পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা। যা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হাসান ও তার নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেট আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ শ্রীপুর পৌরসভা কর্তৃক ছাড়পত্রে বলা হয়েছিলো যে, কর্তনকৃত রাস্তাটি ৯০ দিনের মধ্যে সমগ্র কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে রাস্তাটি মেরামত করা না হলেও ক্ষতিসাধন করা হয়েছে রাষ্ট্রের কয়েক কোটি টাকা, ভুগান্তি ফুহাতে হচ্ছে এলাকার জনগণদের।
শুধু তাই নয়,অপর দিকে ২০১৬ সালের উন্নয়ন কাজের প্যাকেজ নম্বর ০৬/২০১৭-১৮, ১৯/২০১৭-১৮ কাজ গুলো বিভিন্ন জটিলতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মৌসুমি এন্টারপ্রাইজ করতে না পারলেও ২০২৪ সালে সেই অসম্পূর্ণ কাজগুলোর বিল উত্তোলন করেছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।শ্রীপুর পৌরসভার ৩৪ তম মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপিত না হলেও লিখিতভাবে লিপিবদ্ধ হয়,তাই বিষয়টি জানাজানি হয়। কিন্তু,যেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করেই বিল তুলেছে সেই প্রতিষ্ঠানটি হালনাগাদ অনিবন্ধিত বলে জানা যায়। উক্ত বিষয়ে আরও জানা যায়,মেসার্স মৌসুমি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোছাঃ হালিমা খাতুনের স্বামী শ্রীপুর পৌরসভার বহুল বিতর্কিত কর্মচারী ও সাবেক মেয়র আনিসুর রহমানের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন রোড রোলার চালক মোঃ সবুজ মিয়া। মূলত বিলের অর্ধেক কমিশনের শর্তে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হাসানের সহযোগিতায় পূর্বের কাজ বর্তমানে দেখিয়ে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের নামে বিল ছাড় দেওয়া হয়।
অন্যদিকে শ্রীপুর পৌরসভার অর্থ লোপাটের অন্যতম আরেকটি কৌশল হচ্ছে কোটেশনের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজ করা।পৌর সূত্রে জানা যায়,শ্রীপুর পৌরসভার বেশির ভাগ কাজই করা হয় আরএফকিউ পদ্ধতিতে। ২০ ডিসেম্বর ২০২২ং তারিখে টেন্ডারের মাধ্যমে শ্রীপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর টু রাজাবাড়ি রাস্তা হতে সাবেক ইউএনও মরহুম রাসেদুল ইসলামের বাড়ীর রাস্তাটি কার্পেটিং এর নোটিশ প্রদান করে। পরে ৭৬২৫৮৪,শ্রী/পৌ/রেব/২২-২৩/০৫ আইডির মাধ্যমে কাজটি সম্পূর্নও করা হয়। কিন্ত এর ঠিক তিন মাস পরই পৌরসভার তহবিল থেকে অর্থ লোপাট করার জন্য ২৪ তম মাসিক সভায় একই রাস্তা দ্বিতীয়বার( ওভারল্যাপিং করে )পূর্ব লোহাগাছের মতিন ম
আপনার মতামত লিখুন :