দিনাজপুর জেলা কোতোয়ালী থানা ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত এক প্রতারক চক্রের তথ্য গ্রেপ্তার ১ জন।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৭-২৭, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন /
দিনাজপুর জেলা কোতোয়ালী থানা ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত এক প্রতারক চক্রের তথ্য গ্রেপ্তার ১ জন।

প্রকাশিত,২৭, জুলাই,২০২৩

রুবেল চিরিরব বন্দর দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

২৬/৭/২০২৩

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বিভিন্ন সূত্রে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত এক প্রকার চক্রে তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য পাওয়া মাত্রই সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব শাহ ইফতেখার আহমেদ, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল এসবিতে কর্মরত ভুয়া পুলিশ পরিচয় দানকারীকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) জনাব আব্দুল্লাহ-আল-মাসুমের সমন্বয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন এর পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ কোতয়ালী থানা জনাব মোঃ তানভীরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ গোলাম মাওলা শাহ, এসআই (নিঃ) মোঃ শামীম হক, এসআই (নিঃ) ইন্দ্রমোহন রায়, এসআই (নিঃ) মোঃ দুলু মিয়া এবং কোতয়ালী থানার অফিসার ও ফোর্সের অংশগ্রহণের অভিযান শুরু হয়। অভিযানে মোট ০১জন গ্রেপ্তার হন এবং একই সাথে উক্ত আসামির নিকট হতে ০২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে প্রতারক চক্রটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, রাজশাহী সহ সারা বাংলাদেশ তাদের প্রতারণার জাল বিস্তার করে। তারা পাসপোর্ট, ভেরিফিকেশন সেবা প্রত্যাশীদের নিকট ভুয়া এসবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাবদ টাকা গ্রহণ করে। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে পুলিশ অভিযান দলটির দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে মোঃ আসিকুর ইসলাম আশিক(২৬) , পিতা মোঃ মোসলেম উদ্দিন, সাং-হরিহরপুর (কাউয়াপাড়া) থানা – কোতোয়ালী, জেলা- দিনাজপুরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি E- passport Bangladesh volunteer group এ যুক্ত হয়ে গ্রুপে ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত পোস্ট বিশ্লেষণ করে কৌশলে তাদের ফেসবুক একাউন্ট ও পাসপোর্ট আবেদন পত্রের কপি থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর ভূয়া এসবি/ডিএসবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের সাথে মোবাইল ফোন, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ও পজেটিভ পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের কথা বলে তারা মোবাইল একাউন্টে ২০০০/৩০০০ টাকা দাবি করে। তার কথায় বিশ্বাস করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তি তার দেওয়া নগদ, রকেট, বিকাশ একাউন্টে সরল বিশ্বাসে টাকা প্রেরণ করেন। তিনি দফায় দফায় এরূপ টাকা দাবি করতে থাকে। টাকা গ্রহণ শেষে মোবাইল নাম্বারটি ব্লক করে দে। ধৃত আসামির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে খালেদুর রহমান তামিম, পিতা – খলিলুর রহমান, সা়ং-দুর্বলা, থানা+ জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে ০১৭৮০-৪৮৮৭৭৯, ০১৭১৭-৬৬২৭০
মোবাইল নাম্বার ধারীকে অজ্ঞাত আসামী হিসেবে উল্লেখ্য করা হয়। যার ধৃত আসামির নিকট হইতে উদ্ধার করা হয়।

উক্ত বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায় যে, ধৃত আসামী মোঃ আশিক এভাবেই দীর্ঘদিন হতে সাধারণ মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে এবং পুলিশ ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে প্রতারণা করে আসছে। আসামি আশিক নামে বেনামে অনেক সিম সংগ্রহ করে এবং অন্য নামীয় সিমে বিকাশ, নগদ, রকেট একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। এছাড়া বিকাশ, নগদ, রকেটসহ অন্যান্য অসংখ্য সিম কার্ড ব্যবহার করে। যাহার মধ্যে কয়েকটি সিম উদ্ধার করা হয়। তার নগদে স্টেটমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ধৃত আসামি গত ০৬(ছয়) মাসে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে প্রায় ১১,০০,০০০/-(এগার লক্ষ) টাকা এবং ডাচ বাংলা রকেটের মাধ্যমে ১,২২,০৯৪/-(এক লক্ষ বাইশ হাজার চুরানব্বই) টাকা আত্মসা ৎ করার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার মোবাইলে ব্যবহৃত সিম নম্বরে IMME চেক করিলে ৩০/৪০ টি মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়।

উক্ত বিষয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা নং ৭৪/৫৯৩, তারিখঃ ২৬/০৭/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-১৭০/৪০৬/৪১৯/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ মোতাবেক রুজু করা হয়।