প্রকাশিত,৩১, আগষ্ট,২০২২
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
দুই লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেড়াইদেরচালা বসবাসরত অটো গ্যারেজের কর্মচারি আবুল খায়ের। যৌতুক দাবিতে ইতোমধ্যে স্ত্রী মোছা. শাহিদা আক্তারকে নির্যাতন করে এক সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
যৌতুক না পেয়ে প্রথমে নির্যাতন, এরপর স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। দাবি করা ২ লাখ টাকা না পাওয়ার ক্ষোভে বিয়ের সাড়ে চার বছল পর এক সন্তানের জজনীকে ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে স্ত্রী শাহিদাকে দিয়েছেন এবং সম্পর্ক বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছে। স্ত্রী মোছঃ শাহিদা আকতার উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে। তিনি অভিযোগ করে জানান, স্বামী বিয়ের পর আকস্মিক ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে কাজ না হওয়ায় সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন।
পারিবারিক ও অভিযোগ সূত্র জানাগেছে, স্ত্রী মোছঃ শাহিদা আকতার উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরসিট গ্রামের হেলাল উদ্দিনের মেয়ে। সাড়ে চার বছর পূর্বে ইসলামী শরা শরীয়ত মোতাবেক ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও পাগলা থানার পশ্চিম গোলাবাড়ী আবুল হক মিয়ার ছেলে আবুল খায়ের এর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কিছু দাবি না করলেও মামুন সংসারের শুরুতেই স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা চেয়ে বসেন খায়ের। শশুর বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাহানা ধরে টাকা নিতে নিতে শেষ পর্যায়ে এসে আরোও দুই লাখ টাকা দাবী করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। কোনো কারণ ছাড়াই ১১ জুন রাত অনুমান ১০টার দিকে তাঁকে মারধর করেন আবুল খায়ের। এতে আহত হয়ে প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে হতে হয় তাঁকে। কারখানায় চাকরির কারণে বাবার বাড়িতে যাইতে পারতেন না । শারীরিক নির্যাতন করে মামুন তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। হঠাৎ করে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান।
ভুক্তভোগীর পিতা হেলাল উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে তারা অবগত নন এবং হঠাৎ করে তালাকের কাগজপত্র তারা পান। তবে ওই খায়েরকে বিষয়টি সামাজিকভাবে আপোষ করতে বলা হয়েছে। যদি তা না হয়, তবে মামলা হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা তিনি আরোও বলেন, যৌতুক না দেয়ায় আমার মেয়েকে তালাকের হুমকি দিতো পরে হঠাৎ করেই তালাকের কাগজ দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাড়ে চার বছর আগে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও পাগলা থানার পশ্চিম গোলাবাড়ী আবুল হক মিয়ার ছেলে আবুল খায়ের এর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় । তাদের দাম্পত্য জীবনে আশরাফ হোসেন জীম নামে সাড়ে তিন বছরের ১টি পুত্র সস্তান রয়েছে।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও পাগলা থানার পশ্চিম গোলাবাড়ী আবুল হক মিয়ার ছেলে আবুল খায়ের এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন,আমার স্ত্রর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারনে গত ৩ জুলাই জেলা ময়মনসিংহের বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের সমক্ষে হাজির হইয়া আমি আমার স্ত্রী সাহিদা আকতারকে তালাক দিয়ে দিয়েছি।
দেনমোহর হিসেবে তার যা পাওনা দাওনা রয়েছে তা আমি আমার পরিবারের লোক জনের সাথে কথা বলে পরিশোধ করে দিব।
টি.আই সানি
গাজীপুর
৩১.০৮.২০২২