তিস্তা নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৮-১৪, ১০:৫৫ অপরাহ্ন /
তিস্তা নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত।

প্রকাশিত,১৪, আগস্ট,২০২৩

রিয়াজুল হক সাগর,রংপুরঃ

উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে তিস্তা নদীর অববাহিকা, চর, দ্বীপচরে রেড এলার্ট জারী করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই গঙ্গাচড়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। নদীর তীরে থাকা অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের চর নোহালী, চর বাগডহরা, মিনা বাজার, আলমবিদিতর ইউনিয়নের ব্যাঙপাড়া কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর বিনবিনা, মটুকপুর, লক্ষীটারি ইউনিয়নের শংকরদহ, ইচলি, জয়রামওঝা, চল্লিশসাল ও গজগন্টা এবং মর্ণেয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমার ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো ওয়ার্ড নদী বেষ্টিত। ইতোমধ্যে শংকরদহ, ইচলী, জয়রাম ওঁঝাসহ বিভিন্ন গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। নদী পাড়ের মানুষদের পানি বৃদ্ধির তথ্য পৌঁছে দিয়েছি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হলে দূর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, দুর্গত মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছি। ইতোমধ্যেই আমরা বন্যা দুর্গতদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১১ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, উজানে অতিভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত এ পানি বৃদ্ধি অব্যহত থাকতে পারে।