তিন দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় ইউনিয়ন হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরা।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৮-২৬, ৪:১৬ অপরাহ্ন /
তিন দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় ইউনিয়ন হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরা।

প্রকাশিত,২৬,আগস্ট

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় বৈষম্যবিরোধী ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সমন্বয় কমিটি।

রবিবার সকালে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে সামনে নলছিটি ঝালকাঠিসহ সমাবেশে সাড়াদেশের বৈষম্যবিরোধী ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারী সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. নাছির হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব জোবায়ের মাহমুদ, সমন্বয়ক নুরে আলম, হাসান আরেফিনসহ সারাদেশের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।পরে তারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আন্দোলকারীরা দাবি করেন , সরকারের তৃণমূল পর্যায়ের প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে গ্রামীণ জনগণকে যাবতীয় নাগরিক সেবা প্রদানসহ উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে। কিন্তু গত দুই যুগ ধরে রাজনীতিবিদদের স্থানীয় সরকার সম্পর্কিত বিরূপ মনোভাব ও কেন্দ্রীয় সরকারের একক নেতৃত্বের কারণে প্রতিষ্ঠানটি আদৌ সেভাবে গতিশীল হতে পারেনি। রাজনৈতিক সরকারগুলো নানা ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি করে স্থানীয় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী করা হতে বিরত রেখেছে। স্থানীয় সরকারের গ্রামীণ পর্যায়ের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হলো ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ এবং নগর এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হলো পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন কিন্তু এসব স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে নানা রকম বৈষম্য। ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরসহ অন্যনো কর্মীদের বেতন-ভাতা সময়মত প্রদানের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। বেতনের ৭৫ শতাংশ সরকারি তহবিল থেকে ২৫ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে, উৎসব ভাতার ৫০ শতাংশ সরকারি তহবিল থেকে, ৫০ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে, আনুতোষিক ভাতার ৫০ শতাংশ সরকারি তহবিল থেকে, ৫০ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে, লামগ্রান্ড ৫০ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে এবং বৈশাখী ভাতার ৫০ শতাংশ ইউপি তহবিল থেকে দেয়া হয়।  এ রকম হযবরল অবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারীরা হয়রানির শিকার হন। আবার কোথাও কোথাও পরিষদ অংশ তহবিল সংকটের কারণে আদৌ পান না। যেমন পার্বত্য জেলার ইউনিয়ন পরিষদ কর্মচারীরা আনুতোষিক ভাতার হিসাব ‘সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় প্রাপ্য হবেন’ বলে বলা হলেও সরকারি কর্মচারীদের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম দেয়া হয়, যা চরম বৈষম্যমূলক। 

সাম্প্রতিক ইউনিয়ন পরিষদে ‘সচিব’ পদনাম পরিবর্তন করে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করা হয়েছে। এখানেও আমরা বৈষম্যের শিকার। হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের পদের নাম ও বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয়নি।বৈষম্যবিরোধী ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সমন্বয় কমিটি দীর্ঘদিন ধরে তাদের পদবি পরিবর্তন, গ্রেড উন্নয়ন ও বেতন-ভাতা সরকারি তহবিল হতে প্রদানের দাবি করে আসছে। বর্তমান পদবি ও গ্রেড পরিবর্তনসহ সরকারি তহবিল হতে বেতন-ভাতা না পাওয়ার আমরা হতাশায় ভুগছি। তাই স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণের জীবনমান উন্নয়নসহ তাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহদের জন্য অনুরোধ করছি। জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সমিতির দাবিগুলো হলো-১.চাকুরী শতভাগ রাজস্ব খাতে স্থানান্তর। ২. দ্রুত পদোন্নতি ও সরাসরি ইউপি সচিব নিয়োগ বন্ধ। ৩.সামঞ্জসপূর্ণ বেতন গ্রেডে উন্নতিকরণ (১৩ গ্রেড)। তারা আরো বলেন, এ দাবিগুলো যথাযথ বাস্তবায়নে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বৈষম্যবিরোধী ইউনিয়ন পরিষদ হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সমন্বয় কমিটি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।