ডুমনী’তে ৫ পরিবারের বাড়ি ঢুকার রাস্তায় জোরপূর্বক বাউন্ডারির ওয়াল করে জমি দখলের অভিযোগ !


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৫-৩০, ১১:০৩ অপরাহ্ন /
ডুমনী’তে ৫ পরিবারের বাড়ি ঢুকার রাস্তায় জোরপূর্বক  বাউন্ডারির ওয়াল করে জমি দখলের অভিযোগ !

প্রকাশিত, ৩০,মে,২০২৪

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:

সাম্প্রতিক সময়ে খিলক্ষেত থানাধীন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৩ নং ওয়ার্ডের ৭৬১৫/১৬ নং দাগের আহবর ডুমনী বাজারে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম(৪৩)রফিকুল ইসলাম,কালীপদ রায়,এম এ আজিম,আসদ্দর আলী,বিল্লালুর রহমারসহ বেশ কয়েকজন ক্রয়কৃত জায়গার সামনে দখল করার উদ্দোশ্যে জোরপূর্বক ওয়াল নির্মান করেছেন দীপু ও তার সহযোগি মধু। তাদের ওয়াল ব্যবহারের কারনে পিছনে পড়া ৫/৬ জন পরিবারের জীবন শেষ সম্ভল টাকা জমিয়ে বাড়ি নির্মানের জন্য জীবনের শেষ ঠিকানাটি এখন বেদখলে চলে যাচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। তাদের পিছনে রেখে ওয়াল নির্মান করেছেন দিপু ও মধু । ভুক্তভোগিরা অনেক আকুতি মিনতি করলে তারা কোনে কর্ণপাত করে নি তারা।
আজ তাদের জন্য পাঁছ ছয় টি পরিবার খুব অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছে।

তাদের ক্রয়কৃত জায়গা জোরপূর্বক দখল নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের এই দুই প্রতিবেশী সাইদুর রহমান দিপু’ ও মধুর বিরুদ্ধে।

অভিযোগে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম ও টিটু ও রফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান আমার প্রতিবেশী সাইদুর রহমান দিপু ও তার মুল সহযোগি মধু আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি যার দাগ নং-৪৫৭৯/৮০ (চালা ও ভিটা) হোল্ডি নং-৪৬-৪৪ খতিয়ান নং-১১১১২, ডুমনী আহবর খানা-খিলক্ষেত ঢাকায় ডিজিটাল সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে সাইনবোট এবং পিলার লাগানো হয়।গত ১৮ সেপ্টেম্বর-২৩ ইং তারিখে সকাল ১১ ঘটিকার সময় আমার জমিতে গিয়ে দেখি উক্ত সিমানা পিলার এবং সাইবোড নাই। আমার মনে হয় বিবাদী উক্ত সিমানা পিলার কৌসলে সরিয়ে ফেলেছেন। এবং বিবাদী আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা করতেছেন।এমতাবস্থায় আমার চাকুরী জীবনের জমানো কিছু টাকা দিয়ে ক্রয়কৃত জায়গাটি সাইদুর রহমান দিপুর হাত থেকে রক্ষা পেতে আইনের আশ্রায় নিতে আমি বাধ্য হয়েছি বলে ও জানান তিনি ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,সাইদুর রহমান দিপু ও মধু নিজ এলাকায় ডুমনীতে ত্রাসের রাজত্ব্য কায়েম করেন।অত্র ওয়ার্ডের অসংখ্য মানুষের ক্রয়কৃত জায়গা জোরপূর্বক নিজের নামে নেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে ।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক ডুমনী এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন সাইদুর রহমান দিপুর পেশায় একজন ঠিকাদার সাধারন মানুষকে নয় ছয় বলে তাদের ক্রয়কৃত জমি নিজের নামে করে নেন তিনি।

উল্লেখ্য যে উক্ত জমি গুলো ২০০০ সালে মধু কিনে দিয়ে ছিলো পাঁচজন ভুক্তভোগিকে ।জমি কেনার সময় স্বাক্ষী হিসেবে সই করেছেন মধু।তখন পায়ে হেটে যাওয়া যেতো জমি গুলোতে তখন জমি গুলোতে দুই দাগের মাঝে আইল ছিল।

বর্তমানে জায়গা গুলো দিপু এবং মধু জোরপূর্বক ভোগ দখল করার উদ্দ্যাশে গেইট দিয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা।

ডিএমপি খিলক্ষেত থানার ওসি হুমায়ন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমাদের থানায় কিছুদিন আগে একটা অভিযোগ হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর এর সাথে কথা বলে আমরা তদন্ত সহিত ব্যবস্থা নিবো যাতে ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আনোয়ারুল আজিম তার ক্রয়কৃত জায়গা টি বুজে পায় ।

এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো.শরিফুল ইসলাম জানান,এই বিষয়ে আমার খিলক্ষেত থানার ওসির সাথে কথা হয়েছে দুই পক্ষের সাথে কথা হয়ে সময় করে দুইপক্ষকে থানায় বা আমার অফিসে বসে যার জায়গা তাকে বুজিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।
তিনি আরো বলেন বর্তমান দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকার কারো জমি জোরপূর্বক দখল বা ভাংচুর করা হলে তার বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাইদুর রহমান দিপুর কাছে জানতে চাইলে পুরো বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন যার জায়গা যতটুকু তিনি ততোটুকু পাবেন জোরপূর্বক কারো জমি তিনি দখল করে রাখেন নি বলে জানান।

অন্যদিকে দিপুর আরেক সহযোগি মধুর কাছে এবিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করে নি।