প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন পকেট কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেশ কয়েকজন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নীলফামারী জেলার মুখপাত্র রাশেদুজ্জামান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ শাকিল বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠার দাবি করে। ডিমলায় এই নব্য চাঁদাবাজদের রুখে দিয়ে পকেট কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে তাঁরা।
তারা অভিযোগ করেছেন যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে এবং স্বার্থন্বেষী ব্যক্তিরা কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বিজয় চত্বরে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে সদ্য ঘোষিত কমিটিকে প্রকৃত আন্দোলনকারীরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এর আগে, বেশ কয়েকজন নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীলফামারী জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ শাকিল, জাফর হোসেন জাকির, রাশেদুজ্জামান রাশেদসহ কয়েকজন ব্যক্তি নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অফিস থেকে চাঁদাবাজি করেছেন।
সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী উমর ফারুক স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন এবং তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “সংকটে বিপ্লবী তৈরি হয় আর সুযোগে তৈরি হয় সুবিধাবাদী। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডিমলা উপজেলা থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। ভবিষ্যতে যেন আমার নাম কোথাও ব্যবহার না হয়।”
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য নুপুর আক্তার বলেন, “ডিমলায় যখন আন্দোলনের জন্য কেউ ছিল না, তখন হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছিল। অথচ এখন ৪০০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে! এটা কিভাবে সম্ভব?”
তিনি আরও বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এখানে যে কেউ আসতে পারে, তবে চাঁদাবাজির অধিকার কারও নেই। আন্দোলনের নামে যারা চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব করছে, তাদের রুখে দিতে হবে।”
এ সময় আন্দোলনকারীরা প্রকৃত ছাত্র নেতৃত্বের অধীনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং প্রশাসনের কাছে এই ভূয়া কমিটি বাতিলসহ কমিটির চাঁদাবাজ নেতাদের প্রশ্রয় না দেওয়ার দাবি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :