প্রকাশিত,১৬,মে,২০২৪
এম এইচ শাহীন, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
আসন্ন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল জলিলের প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে ও নির্বাচনী প্রচারণার সময় গাড়ি চাপায় শিশু ইয়াসিন(৪) নিহত হওয়ায় হত্যা মামলা দায়েরের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, গাজীপুর জেলা রিটার্নিং অফিসার এবং জেলা ইলেকট্রোরাল ইনকুয়ারী কমিটির নিকট আবেদন হয়।
বৃহসপতিবার (১৬ মে) এই আবেদন করেন শ্রীপুর উপজেলার ভিটিপাড়া গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আশিক বিন ইদ্রিছ।
আবেদনে বলা হয়, গতকাল ১৫ মে সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে শ্রীপুরে গাড়ি বহর যোগে শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্র ব্যবহার করে আনারস প্রতীকের পক্ষে রাস্তায় শোডাউন করার সময় গাড়ির ধাক্কায় ইয়াসিন(৪) নামে একটি শিশু মারা যায়। এতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৩ এর ১৩ এবং ২১(২) ধারা লংঘন হয়েছে যা ৩৩ ধারা মোতাবেক জনাব আ: জলিলের প্রার্থীতা বাতিল হতে পারে। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হতে পারে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৩ এর ১৩ ধারায় বলা হয়েছে, প্রচারকার্যে যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বাধা-নিষেধ: কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যাক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান (ক) কোন ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা অন্য কোন প্রকারের মিছিল বাহির করিতে পারিবে না কিংবা কোন রুপ শোডাউন করিতে পারিবে না। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোন নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর দুই ঘটিকার পূর্বে এবং রাত আট ঘটিকার পরে করা যাইবে না। এই বিধান লংঘন করলে ৩৩ ধারা মোতাবেক তদন্ত সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীতা বাতিল করতে পারবে।
প্রসঙ্গত: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় মাইক্রোবাসের চাপায় এক শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার(১৫ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন মুলাইদ এলাকার শফিকের মোড়ে মজিবুরের বাড়ীর সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম ইয়াসিন (৪)। সে গাজীপুর মহানগরীর হাতিয়াব এলাকার কাতার প্রবাসী জহিরুল ইসলামের ছেলে। শিশুটি তার মায়ের সাথে শ্রীপুর উপজেলার মূলাইদ গ্রামের নানার বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিল।
আবেদনকারী আশিক বিন ইদ্রিছ বলেন, আমি সিইসি, জেলা ইলেকট্রোরাল ইনকুয়ারী কমিটি ও গাজীপুর জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট আবেদন করেছি। এখন উচ্চ আদালতে যাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :