প্রকাশিত,১৮, জুলাই,২০২৩
রুবেল চিরিরব বন্দর দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
আমি মোঃ মোজাফফর হোসেন, পিতা: মৃত মোসলেম উদ্দিন মাস্টার সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক, উত্তর পলাশবাড়ী, এ.এস.এম উচ্চ বিদ্যালয় গ্রাম: উত্তর পলাশবাড়ী, ডাকঘর: উত্তর পলাশবাড়ী, ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়ন, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। আমার জন্ম ১লা সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ সালে সম্ভ্রান্ত আওয়ামীলীগ পরিবারে। আমার বাবা দীর্ঘদিন ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পদের দায়িত্ব পালন করেন । পরবর্তীতে আমার বাবার আপন বড় ভাই ১৯৯০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক জীবনী:
১৯৯১ সালে ৩ নং ফতেজংপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোকছেদুর রহমানের নেতৃত্বে আমার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা এবং সফলতার সাথে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করি। উল্লেখ থাকে যে তৎকালীন এমপি ও হুইপ মোঃ মিজানুর রহমান মানু আমার নেতৃত্বের বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত আছেন।
১৯৯৪ সালে ইছামতী ডিগ্রি কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে চারটি ইউনিয়নের তথা চিরিরবন্দর থানার ১২ নং আলোকডিহি, ৩নং ফতেজংপুর, ৪ নং ইসবপুর ও পার্বতীপুর থানার ১ নং বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করি।
উল্লেখ থাকে যে, ১৯৯৪ সালে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলম ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং আমার সহপাঠী মটরশ্রমিক কর্তৃক হত্যা হয়। পরবর্তীতে এই হত্যার প্রতিবাদে দিনাজপুর জেলায় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ গঠন করা হয় তার আলোকে দিনাজপুর-রংপুর হাইওয়েতে দশমাইল থেকে রাবেয়া পর্যন্ত ৩৪ দিনব্যাপী যানবাহন বন্ধ রাখা হয় এবং রাস্তাটি আন্দোলনকারীর নিয়ন্ত্রনে থাকে এই কার্যক্রমে প্রধান সমন্বয়কারী ছিলাম। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আমার নামে ২০ টি মামলা হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন এমপি ও হুইপ মোঃ মিজানুর রহমান মানু ভাইয়ের উপস্থিতিতে টিএনও, ডিসি, এসপি এবং সব আন্দোলনকারী ও সাধারন জনগণের সাথে উন্মুক্ত আলোচনা হয়। ঐ আলোচনায় আমি সহ সকল আন্দোলনকারীদের মামলাগুলো প্রত্যাহার করার জন্য জেলা প্রসাশক মহোদয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন।
আরও উল্লেখ থাকে যে, ১৯৯৪ সালে স্থানীয় কচুয়ার বাণীতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপির ছাত্রদলের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষ হয়। তারই আলোকে দিনাজপুর-৩ আসনের তত্কালীন এমপি খুরশিদ জাহান এর নির্দেশে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় আমি সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অনেক হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই এবং পরবর্তীতে জয়লাভ করি। এই মামলার সম্পূর্ণ দেখাশোনা করেন ততকালীন এমপি ও হুইপ মোঃ মিজানুর রহমান মানু।
১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচনের ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়নের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি এবং চিরিরবন্দর থানার মধ্যে ভোটে প্রথম হয় আমাদের ইউনিয়ন যা তৎকালীন এমপি ও হুইপ মোঃ মিজানুর রহমান মানু ভাই অবগত আছেন ।
আমার বড় আব্বা সভাপতি থাকাকলীন সময়ে উনার বার্ধক্যের কারনে থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক মিটিং এ ইউনিয়ন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি এবং বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছি । যা তৎকালীন এমপি ও হুইপ মোঃ মিজানুর রহমান মানু ভাই অবগত আছেন এবং থানা আওয়ামীলীগের উপস্থিতি খাতায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা আপনারা চাইলেই নিয়ে দেখতে পারবেন।
১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগের এক কর্মী ইছামতী কলেজ থেকে বাসা ফেরার পথে ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়ন পরিষদের চকিদারের সাথে সাইকেলের লাইসেন্স নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় এবং তাকে টেনে হেচড়ে ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে যায়। এরই প্রতিবাদ করায় একটি মামলা দায়ের করে ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল আজিজ। পরবর্তীতে সেই মামলায় আমি গ্রেফতার হই। গ্রেফতারের পরে হাজার হাজার জনগন দশমাইল হাইওয়ে পুলিশ ফারি ঘেরাও করে। পরবর্তীতে বিষয়টি তৎকালীন হুইপ মোঃ মিজানুর রহমান মানু অবহিত হলে এসপি সাহেবের নির্দেশে আমাকে এডিশনাল এসপির গাড়িতে করে দিনাজপুর সার্কিট হাউজে নিয়ে যায়। এবং রাত তিনটার আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আমি জামিনে মুক্তি লাভ করি।
২০০০ সালে রানীরবন্দরে একটি তাঁতীদের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেই মেলাকে কেন্দ্র করে রানীরবন্দরের জামায়াতে ইসলামের নেতা মকবুল মুন্সী তৎকালীন হুইপ মোঃ মিজানুর রহমান মানু এবং আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার মাইকে চালায় যা আমার নেতৃত্বে প্রতিহত করি। পরে জামায়াতের নেতা মকবুল মুন্সী বাদী হয়ে জন নিরাপত্তা আইনে আমাদের নামে মামলা হয় । পরবর্তীতে মামলাটি থেকে আমরা অব্যাহতি পাই ।
২০০১ সালে যুবলীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের সদস্যপদ লাভ করি এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত সদস্যপদ থাকে। বর্তমান আহবায়ক কমিটিতেও আছি।
২০০৩ সালে ২৯শে মার্চ ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্যপদ লাভ করি এবং চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলের ২নম্বর কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত হই। ২০০৩ সালে ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন আমার আপন মামা মরহুম একরামুল হক মাস্টার ।
২০০৪ সালে ৩০শে এপ্রিল বিএনপি সরকারের পতন তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পদক জলিলের নির্দেশে আন্দোলন কর্মসূচী চলছিলো। তখন সেই আন্দোলন প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে ২৬ শে এপ্রিল আমাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিন মাস ২২ দিন বিএনপির ২ টি পেন্ডিং মামলায় কারাবন্দী ছিলাম।
২০০৬ সালে ২৮শে অক্টোবর বিএনপি জামায়াতের সারা দেশে তাণ্ডব হয়। সেই তাণ্ডবের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশে সারা দেশব্যাপী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষঠা হওয়া পর্যন্ত চম্পাতলী বাজারে তথা দশমাইল-রাবেয়া হাইওয়েতে আন্দোলন কর্মসূচী হয়। সে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করি এবং অর্থ ব্যয় করি যার নথিপত্র আমার কাছে আছে এবং সাবেক এমপি ও সাবেক হুইপ জনাব আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান মানু মহোদয় ।
আপনার মতামত লিখুন :