চিরিরবন্দর উপজেলায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদিবাসী ক্লু-লেস হত্যা মামলায় জড়িত আসামী গ্রেপ্তার ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৭-০৮, ১০:৪৬ অপরাহ্ন /
চিরিরবন্দর উপজেলায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদিবাসী ক্লু-লেস হত্যা মামলায় জড়িত আসামী গ্রেপ্তার ।

রুবেল চিরিরব বন্দর দিনাজপুর প্রতিনিধি

চিরিরবন্দর উপজেলায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদিবাসী ক্লু-লেস হত্যা মামলায় জড়িত আসামী গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন।

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর থানাধীন পুনট্টি পাঠানডাঙ্গা গ্রামের আদিবাসী ফিলিমন সরেন(৬০), পিতা-মৃত সুপ্পল সরেন গত ০৪-জুলাই/২০২৩ নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ি থেকে অর্ধ কিলোমিটার দূরে বাঁশ ঝাড় থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।।

তিনি গমিরাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ছিলেন । পরিবারের সদস্যরা তার থেকে অন্যত্র/আলাদা বসবাস করতেন। মৃতার ছেলে আমিন সরেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলা নং-১৩, তারিখ-০৭/০৭/২০২৩ খ্রিঃ ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড । তদন্তভার এসআই মোঃ আলমগীর এর উপর অর্পন করা হয়। মামলা রুজুর সাথে সাথে সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল এর সহযোগীতায় অফিসার ইনচার্জ চিরিরবন্দর এর নেতৃত্বে থানার চৌকস ০৫ জন এসআই এর অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকান্ডের ঘটনায় তদন্তে প্রাপ্ত জড়িত আসামী ১। রবিন হেমরম(৪০), পিতা-মৃত ঢেনা হেমরম, সাং-পুনট্টি ঝারুয়াপারা, থানা-চিরিরবন্দর জেলা-দিনাজপুর, ২। আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু রয়েল হেমরম(১৬), পিতা-রবিন হেমরম, সাং-পুনট্টি ঝাড়ুয়াপাড়া, উভয় স্থায়ী গ্রাম-লাল কাতরী, থানা-বিরল, জেলা-দিনাজপুরদ্বয়কে আটক করা হয়।

আটক আসামীর দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত (১) রড এর অংশ বিশেষ (২) ভিকটিমের মোবাইল ফোন (৩) ভিকটিমকে হত্যার সময় ব্যবহৃত রক্তমাখা বালিশ ও দুইটি শার্ট (৪) ভিকটিমের বসত বাড়ীর ও কর্মস্থলের চাবিসহ মোট ১৭টি চাবি (৫) ভিকটিমের মরদেহ গোপন করার কাজে ব্যবহৃত একটি প্লাষ্টিকের বস্তা, রশি এবং একটি বাশের অংশ বিশেষ (৬) ভিকটিমের রক্তাক্ত মাথা বাধার জন্য একটি পলিথিন ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। আসামি রবিন মেয়েদের ভাস্তি জামাই। তিনি তার চাচা শ্বশুরের জমি বন্ধকীর নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগি আপন পুত্র ও ভাইরা কে নিয়ে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করেছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হত্যার পরে সেই একলক্ষ বিশ হাজার টাকা বাড়ির কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলতারা আর খুঁজে পায়নি।গ্রেফতারকৃত আসামিদ্বয় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর সম্মুখে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

স্বাক্ষরিত-
তাং-০৯/০৭/২০২৩খ্রিঃ
অফিসার ইনচার্জ
চিরিরবন্দর থানা, দিনাজপুর।