চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মারধর, ফাঁকা চেক নিয়ে ফেলে উধাও।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৬-২৩, ১১:১৩ অপরাহ্ন /
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মারধর, ফাঁকা চেক নিয়ে ফেলে উধাও।

প্রকাশিত,২৩,জুন, ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

একটি চেক জালিয়াতির মামলার বাদি এক ব্যবসায়ীকে রাতের অন্ধকারে অপহরণ করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে মামলার আসামী ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক একটি ফাঁকা চেক ও মামলা চলমান থাকা চেকটি মুক্তিপণ হিসেবে নেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ব্যবসায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের বিদিরপুর ব্রামনডাঙ্গা গ্রামের মৃত এসলাম আলীর ছেলে মো. আব্দুর রাজ্জাক (৫৪)।

এনিয়ে রবিবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক। জানা যায়, গত শনিবার (২২ জুন) রাত আনুমানিক ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে জেলা শহরের বিদিরপুর মোড় হতে বাড়ি যাওয়ার পথে বিদিরপুর গ্রামের মনিরুল হাজির বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তার উপর কয়েকজন ব্যক্তি পথরোধ করে। পরে তাকে একটি মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা।

ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, টাকা-পয়সা দেনাপাওনার সূত্র ধরে জেলা শহরের গণকা এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম ফজু বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি এখন আদালতেই চলমান রয়েছে। এমন অবস্থায় বাড়ি ফেরার পথে চেক জালিয়াতি মামলার আসামী আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়া যায় এবং বেধড়ক মারপিট করে শরীরের বিভিন্নস্থান জখম করে। এমনকি তারা আমাকে তিনটি ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাকে আঁটকে রেখে তারা জানান, তোর বাড়ীতে ফোন কর এবং তোর নামীয় একটি চেক ও তোর কাছে জমা থাকা আব্দুল আলিমের নামীয় চেকের মোট দুটি পাতা নিয়ে আসতে বল। পরে তাদের ফোন থেকে আমার ছেলের ফোন নাম্বারে কল করি ও ছেলেকে চেক দুটি আনতে বলি। পরবর্তীতে আমার ছেলে একটি ফাঁকা ও একটি মামলার মিলে মোট দুটি চেক নিয়ে রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বটতলাহাট এলাকায় গিয়ে দিয়ে আসে।

আব্দুর রাজাকের পরিবার অভিযোগ করেন, অপহরণকারীরা আব্দুর রাজ্জাককে রবিবার (২৩ জুন) ভোর ৪টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। হাসপাতালে আব্দুর রাজ্জাককে হুমকি দেয়া হয়, এই ঘটনাটি যদি তুই কাউকে বলার চেষ্টা করিস, তাহলে তোকে প্রানে শেষ করিয়া ফেলব। পরবর্তীতে ভোর ৫টার দিকে বাড়ির সামনে ফেলে যায় আব্দুর রাজ্জাককে।

এবিষয়ে চেক জালিয়াতি মামলার আসামী ও অভিযুক্ত আব্দুল আলিম মুঠোফোনে বলেন, আব্দুর রাজ্জাক আমার পরিচিত লোক। তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি চেক চুরির মামলা দায়ের করেছিলাম। পরবর্তীতে সে আমার নামেও চেকের একটি মামলা দায়ের করেন। তবে গতকাল রাতের অপহরণ বা চেক নেয়ার কোন ঘটনার সাথে আমি জড়িত নয় বা ঘটনাটি আমার জানা নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মেহেদী হাসান জানান, অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।