প্রকাশিত,০৮,জুলাই, ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁদপুর মতলব উত্তরে বিদেশী পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি সহ রমজান নামে ১ যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।
শনিবার সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার বেলতলী আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন এলাকা থেকে বেলতলী এলাকার বারেক সওদাগরের ছেলে রমজান সওদাগর (২৮) আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ব্যবসায়ী রিপন সরকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রের যোগান দেন আব্দুল্লাপুরের ফিরোজ সিকদারের ছেলে লিটন বলে জানান আটককৃত রমাজন। মতলব উত্তর থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন মো. রিপন সরকারের ছোট ভাই মো. শাহাদাৎ হোসেন।
এবিষয়ে শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমার বড় ভাই মো. রিপন সরকার মতলব উত্তর থানার বেলতলী এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাছের ও বালুর ব্যবসা করে আসিতেছে। উক্ত ব্যবসার জের ধরিয়া গজারিয়া থানার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মো. ফিরোজ কসাইয়ের ছেলে মো. লিটন কসাই মূলত ইয়াবা ব্যবসায়ী তাদেরকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ায় আমার বড় ভাই মো. রিপন সরকারের সাথে শত্রুতা শুরু হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লিটন কসাই বেলতলি গ্রামের বারেক সওদাগরের ছোট ছেলে রমজান সওদাগর এর মাধ্যমে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পূর্বে এর আগেও কয়েকবার আমার বড় ভাই রিপন সরকার কে হত্যা করার উদ্দ্যেশে হামলা করে। বর্তমান আটককৃত মো. রমজান সওদাগর আমার ভাইয়ের মাছের ফিসারিতে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করতো। আমার ভাই মো. রিপন সরকার বিভিন্ন জানতে পারে যে, তাকে হত্যা করার জন্য গজারিয়া থানার লিটন কসাই, রমজান সওদাগর সহ আরো কয়েকজন কে পিস্তল দিয়ে আমাকে মারার জন্য বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৬ জুলাই বেলা আনুমানিক ১২ টার দিকে রমজান সওদাগর আমার বড় ভাই মো. রিপন সরকারের মাছের ফিসারীতে কাজ করতে আসিলে আমি ও আমার বড় ভাই রিপন সরকার কৌশলে মো. রমজান সওদাগরকে আমাদের অফিসে ডেকে নিয়ে উক্ত বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রমজান জানান, মো. লিটন কসাই সহ কয়েকজন মিলে গত পাঁচ তারিখ আনুমানিক বিকেল ৪ টার দিকে মতলব উত্তর থানার আনারপুর এলাকায় রমজানকে ডেকে নিয়ে লিটন কসাই এর লোকজনদের মাধ্যমে রমজানের হাতে রিপন মিয়াকে মারার জন্য একটি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি সহ তার হাতে দেন।
রিপন সরকারের ছোট ভাই মো. শাহাদাৎ হোসেন আরও জানান, মো. লিটন কসাই পিতা ফিরোজ কসাই, গোলজার খা পিতা মৃত বাতেন খা, মো. উজ্জল শৈয়াল পিতা মৃত মজিদ শৈয়াল, লনী নারী, পিতা মৃত হাফেজ রারি, মো. জাহিদ পিতা নাসির সরদার, মো. সুমন মিয়া পিতা চান মিয়া, আব্দুল গোলদার, পিতা মহবত আলী, তারাই মূলত আমার ভাইকে কিভাবে হত্যা করবে তার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাই আমি তাদেরকে আসামি দিয়ে অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে দিয়ে একটি মামলা করি। গত এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ রাত ২ টার দিকে মো. খায়রুল কবির সহকারী পুলিশ সুপার মতলব সার্কেল চাঁদপুর এর নেতৃত্বে এবং মো. আলমগীর হোসেন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মতলব উত্তর থানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে মতলব উত্তর থানায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন সহ মতলব উত্তর থানার সাদুল্যাহপুর ইউনিয়ন বেলতলী লঞ্চঘাট সংলগ্ন আশ্রয়ন প্রকল্পের উত্তর পার্শ্বে নান্নু ফকির এর ফার্নিচার দোকানের ভিতর হইতে রিপন সরকারের ছোট ভাই মো. শাহাদাৎ হোসেন সহ স্থানীয় জনসাধারন কর্তৃক আটককৃত আসামী বারেক সওদাগর এর ছেলে মো. রমজান সওদাগর কে বেলতলী বদরপুর গ্রাম(সওদাগর বাড়ী) স্থানীয় লোকজন থেকে মতলব উত্তর থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেন।
আটককৃতের বরাতে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি বলেন, রমজান সওদাগর নামে একজনকে ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :