ঘূর্ণিঝড় রেমাল আতঙ্কে গলাচিপার ৩ লক্ষাধিক বাসিন্দা।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৫-২৬, ৬:২৬ অপরাহ্ন /
ঘূর্ণিঝড় রেমাল  আতঙ্কে গলাচিপার ৩ লক্ষাধিক বাসিন্দা।

প্রকাশিত, ২৬,মে,২০২৪

সঞ্জিব দাস,গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় রেমাল-এর প্রভাবে গলাচিপায় দমকা হাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে বেড়িবাঁধ বিহীন এলাকা। নদী বেষ্টিত গলাচিপা উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। ১০ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারী করায় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে কাজ করছে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা। মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। এদিকে গলাচিপার ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, পানপট্টি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্তের হাওলা গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাধ মারাত্মক ঝুঁকিতে আছে। জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাঁধ রক্ষায় কাজ চলছে। এদিকে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরকারফারমা তলিয়ে যাওয়ায় মানুষ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে।
গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন টুটু জানান, ওই এলাকার তিন শতাধিক মানুষকে কারফারমা স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। চরকাজল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, চরকাজলের পশ্চিম দিকে ২/৩ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শতাধিক ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো: হাসান জানান, বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর বাংলা হাজার খানিক মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছে। জোয়ারের পানিতে এলাকা তলিয়ে গেছে। মুজিবকিল্লা ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করছে। ডাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় জানান, আধা কিলোমিটার বেড়িবাঁধ না থাকায় সাধারণ রাস্তার ওপর দিয়ে পানি প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য কাজ করা হচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে তলিয়ে যেতে পারে আটখালী গ্রামের বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গলাচিপা পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক তুহিন জানান, ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাধের বাইরের শ্যামলী বাগ, কলাবাগান, শান্তিবাগ, কুটিয়ালপাড়া এবং তিনটি আশ্রয়ন প্রকল্পে এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী চার হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। বেদে সম্প্রদায় ৫০-৬০ জন গলাচিপা খানকায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে গলাচিপা পৌরসভা পক্ষ থেকে খাদ্য দেয়া হচ্ছে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মহিউদ্দিন আল হেলাল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলো পরিদর্শন করছেন।