প্রকাশিত,১০, সেপ্টেম্বর,২০২৩
মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-০১(২১৫) (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি,ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাবেক ভিপি বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাবলু।
খন্দকার মঞ্জুরুল হক লাবলু জানান, নির্বাচনের জন্য তিনি মুকসুদপুর-কাশিয়ানী এলাকাকে উপযুক্ত জায়গা মনে করেন। এখানে একসময় সংসদ সদস্য ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম কাজী আব্দুর রশিদ। তার পৈতৃক এলাকা মুকসপুর। তার দাবি তিনি যখন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তখন তিনি গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে জিয়া-এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।অন ইলেভেনের সময় সভানেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছেন।সে কারনে মুকসুদপুর-কাশিয়ানী এলাকায় আওয়ামলীগ ঘরানার জন্য উপযুক্ত মনে করেন তিনি নিজেকে।
তিনি মনে করেন নির্বাচনী এলাকার অধিকাংশ আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা তার সাথে আছেন।তিনি বলেন আমি পরবর্তিতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে লেখা পড়ার পাশাপশি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভ’মিকা পালন করেছে।ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নির্বাচিত ভিপি ছিলাম। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি আমাদের দলের সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরতে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি প্রতিনিয়ত এলাকায় সাধারন মানুষের সাথে উঠন বৈঠক করে দলীয় নেতা-কর্মীসহ এলাকার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার জেলা উপজেলায় যারা এখন আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে রয়েছেন আমি তাদের প্রত্যেকের সাথে সকল আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলদেশের সুফল এখন ঘরে ঘরে সবাই পাচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌছে গেছে। আগামীতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট কর্মী দরকার। এলাকার মানুষ চায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক মনোনয়ন পাক। এলাকার প্রতিটি সমস্যায় আমি এলাকর মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। এলাকায় সকর দলীয় কর্মসূচী পালন করেছি এবং করোনা মহামারির সময় এলাকার মানুষকে সার্বিক ভাবে সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছি।এলাকায় ত্যাগী ও হাইব্রিডদের নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। আশাকরি দল আমাকে মনোনয়ন দিলে সে সব সমস্যা কমে যাবে।
এখন আর কোথাও গ্রাম নেই। শেখ হাসিনা সব গ্রামকেই শহর বানিয়ে দিয়েছেন। তারপরও যে টুকু বাকী আছে আশাকরি সেটুকু থাকবেনা।গ্রামকে শহরের মতো করে গড়ে তুলতে পারিকল্পনা মাফিক কাজ করতে চাই। কাশিয়ানী এখনো পৌরসভা হয়নি।আমি দায়িত্বে আসতে পারলে স্বল্প সময়ের মধ্যে কাশিয়ানীকে পৌরসভা তৈরি করবো।তারপরেও একটি কথা বলতে চাই দলীয় সভাত্রেী আগামী নির্বাচনে তরুনদের গুরুত্ব দেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
আপনার মতামত লিখুন :