গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ায় সরকারি জমিতে আলিশান বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৩-০৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ন /
গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ায় সরকারি জমিতে  আলিশান বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ।

প্রকাশিত,০৪, মার্চ,২০২৪

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ ঃ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিটিসিএল এর জুনিয়র সহকারী মিজানুর রহমান (সেকেন্দার) হাওলাদারের খুঁটির জোর কোথায় ?? কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রভাব খাটিয়ে গোপনে রাতের আঁধারে ও সরকারি ছুটির দিনে “ক” তালিকাভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির ওপর ৫ তলা ভবন নির্মাণের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় সরকারি ডি.সি আর নেওয়া ভুক্তভোগী মোঃ ইসকেন্দার হাওলাদারকে ডি.সি আর এর জায়গা বুঝিয়ে না দিয়েই ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন পুকুরে মাছ চাষ এবং লীজকৃত জায়গায় চাষাবাদ করছেন তিনি। এছাড়াও গ্রামে জনস্রুত রয়েছে অভিযুক্ত মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদার (সেকেন্দার) গ্রামের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, তিনি জামায়েত রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন এবং সেই দলের আমিরও ছিলেন বলে একালাবাসী জানিয়েছেন। এছাড়াও এলাকায় ব্যাপক প্রভাব রয়েছে তার। পরে এ সংক্রান্তে ভুক্তভোগী মোঃ ইসকেন্দার হাওলাদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে ইউএনও মহোদয় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘২৪ কোটালীপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে আবেদনকারীর রেকর্ডাদি যাচাইপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিঞ্জুরী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে পিঞ্জুরী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (আঃ দাঃ) আঃ ছবুর সরদার গত ১৯ ফেব্রুয়ারি স্মারক নং- ইভূঅ/ পিঞ্জুরী/২৯ এর দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ৭৯ নং পিঞ্জরী মৌজার এস.এ ১৯৪, ৪৪৮ নং খতিয়ানের ২৬২, ২৭৯, ২৫৬, ২৫৭, ২৫৫ নং দাগের ১.৪১ একর ভূমি Xll-V-১২/৭৬-৭৭ নং লীজ কেসমূলে মেহেরোন্নেছা, জং-মৃত সোহরাব হোসেন হাওলাদার গংদের নামে ওই মৌজার এস.এ ৫৫৭, ৪২৪, ৪০৮, ১৩৯, ২২৩, ৩১৩ নং খতিয়ানের ২৭২, ২৯৩, ২৫৫, ২৬৩, ২৪৭, ২৯২, ২৭৪, ২৮১, ২৮৯, ২৪৮, ২৫১, ২৫৮, ২৬০, ২৬৪, ২৯২, ২৪৪, ২৫৭, ২৪৬, ২৯৭, ২৯৪, ২৭৬, ২৫২, ২৮৭, ২৮৬ নং দাগের ১.৬৪ একর ভূমি XII-V-৭৮/৭৪-৭৫ নং লীজ কেসমূলে মেহেরোন্নেছা, জং-মৃত সোহরাব হোসেন হাওলাদার গংদের নামে ওই মৌজার এস.এ ৩৯৬, ৪১৪, ৩৯৭, ৪১০, ৪০৯, ৪০৫ নং খতিয়ানের ২৬৭, ২৬৬, ২৭১, ২৫৯, ২৪৪, ২৫৭, ২৬৬, ২৫৭, ২৫৬, ২৫৯, ২৭২, ২৬৩, ২৬৯, ২৫৬, ২৬৩, ২৫৪, ২৬৩, ২৬৪, ২৬৬, ২৫৭, ২৬৩, ২৬৪, ২৬৬, ২৫৭, ২৬৩, ২৬৪, ২৯৩ নং দাগের ০.৭০৫০ একর ভূমি XII-V-৭৯/৭২-৭৩ নং লীজ কেসমূলে মেহেরোন্নেছা জং মৃত সোহরাব হোসেন হাওলাদার গংদের নামে একসনা লীজ হিসেবে বন্দোবস্ত দেওয়া আছে। উল্লেখিত তফসিল ভূমি মেহেরোন্নেছা জং মৃত সোহরাব হোসেন হাওলাদার, সেকেন্দার হাওলাদার, ফরহাদ হাওলাদার, এসকেন্দার হাওলাদার, লিলি বেগম জং মৃত আব্দুল হক হাওলাদার উক্ত লিসকৃত ভূমি সরে জমিনে ভোগ দখল করিতেছেন। তাহারা প্রত্যেকে বাংলা ১৪৩০ সাল পর্যন্ত লীজের সেলামীর টাকা পরিশোধ করিয়াছেন। তবে লীজকৃত ভূমি তাহারা সঠিকভাবে ভাগ বন্টন করিয়া ভোগ দখল করিতেছেন না। তন্মধ্যে, সেকেন্দার হাওলাদার লীজকৃত ভূমি সহ সাবেক ২৬৩, ২৬৪, ২৬৫, ২৬৬ হাল ১৩২ নং দাগের বাড়ি শ্রেণি ভূমির ওপর সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সরকারের বিনা অনুমতিতে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখা সত্ত্বেও গোপনে গোপনে অফিস বন্ধের দিন কাজ করেন মর্মে স্থানীয় লোকজন জানান। সাবেক ২৬৩, ২৬৪, ২৬৬ নং দাগের ভূমি “ক” তালিকাভুক্ত নিষ্কৃত ভূমি এবং সাবেক ২৬৫ নং দাগটি লীজ বহির্ভূত ভূমি। তবে সেকেন্দার হাওলাদার এর পিতা ০৪/০৫/১৯৭০ সালে ২২৮৬ নং রেজিস্ট্রিকৃত দলিল মূলে ২৬৫ নং দাগের ০.০৫০ একর ভূমি জ্ঞানেন্দ্র নাথ দাসগুপ্ত পিতা রসিক চন্দ্র দাসগুপ্ত এর নিকট থেকে খরিদ করিয়াছেন মর্মে জানা যায়। তবে উক্ত দলিল মূলে তিনি কোন নাম জারি করেন নাই বা অর্পিত সম্পত্তির তালিকা থেকে অবমুক্ত করেন নাই। উক্ত সাবেক ২৬৫ নং দাগের ভূমি সহ লীজ ভুক্ত সমুদয় ভূমি বি.আর.এস জরিপে ১/১ নং খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জের নামে রেকর্ড হয়েছে। ফলে উক্ত ব্যক্তি যাহাতে সরকারের অর্পিত “ক” তালিকাভুক্ত জায়গায় উল্লেখিত ভবনটি নির্মাণ করিতে না পারে তাহার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহোদয় বরাবর সুপারিশ করা গেল।

এবিষয়ে অভিযুক্ত কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের পিঞ্জুরী গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে সরকারি চাকুরিজীবী মোঃ মিজানুর রহমান হাওলাদার (সেকেন্দার) ০১৭….৬৪৭ মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, আমি কোন নোটিশ পাইনি, আমি আমার দলিলি সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ করছি।