প্রকাশিত,০৪,নভেম্বর
মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার ঘোনা পাড়া মোরে সংঘর্ষে নিহত কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক দিাদার হত্যা মামলাটি এমন এক প্রান্তে এসে দাড়িয়েছে যা গোপালগঞ্জের সাধারন মানুষের মাঝে আতঙ্কের প্রতিচ্ছায়া হিসাবে কাজ করছে। দিদার হত্যা ছাড়াও গোপালগঞ্জের গুপীনাথপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর উপর হামলা ও সংঘর্ষের মামলাটা নিয়েও গোপালগঞ্জের সাধারণ মানুষ ভীত ও আতঙ্কিত।
গোপালগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি চুরি সিনতাই, সাইবার ক্রাইম এর অভিযোগে যাদেরকেই আটক করা হচ্ছে তাদেরকেই এই দিদার হত্যা মামলা ও সেনা বাহিনীর মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা সহ গোপালগঞ্জের সাধারন মানুষ।হত্যা মামলাটিকে নিয়ে বিএনপির কিছু সুবিধাবাদি হাইব্রিড নেতাদের হাত ধরে চলছে বাণিজ্য। গোপালগঞ্জের আদি প্রকৃত বিএনপির পরিবারের নেতাদের দেখা মিলছেনা এখনও। হত্যা মামলাটি বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলেও জড়িত নামধারী আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ । তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার ও নিরীহ সাধারন মানুষকে রেহায়ের দাবি জানিয়েছেন গোপালগঞ্জের সাধারন মানুষ।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, তার স্ত্রীসহ বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের জন্য গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে যাচ্ছিলেন। তার গাড়ি বহরটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে তার সাথে থাকা কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা রাস্তায় টাঙানো আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন ছেড়াকে কেন্দ্র করে গোন্ডগোলের সৃস্টি হয়। এক পর্যায়ে বড় ধরনের হামলার শিকার হয় জেলানী ও তার স্ত্রী রওশন আরা রত্না ও প্রায় ৩৫ নেতা কর্মীরা সহ হামলাকারীরা। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা করে মহাসড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়। এছাড়াও এস এম জিলানী, তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রওশন আরা রত্না সহ অন্তত ৩৫ জন দলীয় নেতাকর্মীরা এ হামলার শিকার হন।
শওকত আলী দিদার নিহতের ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর দিদারের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও গোপালগঞ্জ সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আবু সিদ্দিক সহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও এক হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
দিদার হত্যা কান্ডটিকে নিয়ে সমগ্র গোপালগঞ্জে যে আতঙ্ক বিরাজ করছে তা অবসানের জন্য মামলার সাথে জড়িতোদের দ্রুত গ্রেফতার করে এবং সাধারণ মানুকে হয়রানী মূলক অভিযুক্ত করার আতঙ্ক দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ও বিএনপির প্রকৃত নেতা কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :