গোপালগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা, নির্মাণাধীন ভবনে কিশোর গ্যাংয়ের টর্চার সেল।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-১১-২৪, ৬:৪৩ অপরাহ্ন /
গোপালগঞ্জে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রকে অপহরণের চেষ্টা,  নির্মাণাধীন ভবনে কিশোর গ্যাংয়ের টর্চার সেল।

প্রকাশিত,২৪,নভেম্বর

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জ জেলা শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচ,এস,সি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোঃ রাফি ইসলাম চৌরঙ্গি ইউসিবি ব্যাংক লি. জেলা শাখা থেকে বিল প্রদান করে বের হলেই একদল কিশোর গ্যাং এর চক্র তাকে দেশিও অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে ধরে নিয়ে যায় শহরের মোহাম্মাদ পাড়া এলাকার রেশমির চায়ের দোকানে পূর্ব-দক্ষিণ পার্শ্বের নির্মাণাধীন এক ভবনের ভিতরে।

ওখানে নিয়ে ওরা ওর কাছে থাকা মোবাইল পকেটে থাকা টাকা ও চশমা নিয়ে অমানবিক অত্যাচার করে। রাফির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীরা তাকে অচেতন অবস্থায় পায়। পরে আহত রাফিকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যপারে রাফির বাবা বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন্ অভিযোগ সূত্রে পাওয়া যায়, রহিজ মুন্সির ছেলে আলহাজ মুন্সী, ছামি,শিক্ত, সজীব, সাফি সহ আরো ৪/৫ জন ব্যাংক থেকে বের হয়ে রাস্তায় অসার পর দেশিও অস্ত্র ঠেকিয়ে মোহাম্মাদ পাড়ার ঐ নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায়। ওখানে রাফিকে তার বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রাফির চিৎকার এলাকাসহ টের পেয়ে ছুটে আসলে গ্যাং এর ছেলেরা ওকে রেখে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় প্রায়ই কিশোর গ্যাংয়েরে এই চক্রটি লোকজন ধরে এনে মারধর করে। নেশাগ্রস্ত এই গ্যাং নেশার টাকার জন্য এই সকল অপকর্ম করে বেড়ায়। এদের এই পরিস্থিতির জন্য ওদের পরিবারকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।
এই কিশোর গ্যাং ছাড়াও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এদের উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ ও দোকান ব্যবসায়ীরা। শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে, সন্ধ্যার পরে মডেল স্কুলে ভিতরে, গোপালগঞ্জ নবীনবাগ, হাসপাতালের সামনে, সোনাকুড় ও বর্নি যাওয়ার বিশ্বরোড রাস্তার মাথায়, শেখ রাসেল শিশু পার্কের আশপাশ দিয়ে এদের আড্ডাস্থল।
বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজর দারি কিশোর গ্যাং এর বেশির ভাগ দমে গেলেও প্রশাসনের নজরের আড়ালে সমাজের নর্দমা যুক্ত কিছু পরিবারের বকে যাওয়া সন্তানেরা এসব আকাম কুকাম করে বেড়াচ্ছে। এদেরকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা গ্রহন করা না গেলে এর থেকে বড় কিছু ঘটতে পারে বলে মনে করছেন এলাকা বাসীরা। এ ব্যপারে প্রশাসনের কড়া নজদারির প্রয়োজন মনে করছি।