প্রকাশিত,৩১, অক্টোবর,২০২৩
মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ ।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত উপপুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল কালাম শেখের নিজ নামে ক্রয়কৃত জায়গার বসত বাড়ি থেকে বের হওয়ার মেইন গেট সহ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সকল পথে পেশীশক্তির জোরে পাকা ওয়াল নির্মাণ করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এলাকার কতিপয় দুর্বৃত্তরা।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বাংলাদেশ পুলিশের অবসর প্রাপ্ত এস,আই মো.আবুল কালামের বাড়ী থেকে বের হওয়ার সকল রাস্তা ইট, বালু ও সিমেন্ট দিয়ে গায়ের জোরে ওয়াল করে অবরুদ্ধ করে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সকাল নয়টা ত্রিশ মিনিটে গনমাধ্যমকর্মীদের একটি দল পুলিশ সদস্য সহ তার পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পুলিশ সদস্যের দলিলিও সম্পত্তিতে বাউন্ডারী ওয়াল করা ছিল অনেক আগে খেকেই, তার নিজের যায়গার বাউন্ডারীর ভিতরের একটি পুকুর ছিলো, ঐ পুকুরের পানি আশপাশের বাড়ির লোকজন ঠিক ভাবে ব্যবহার না করায় রাগান্বিত হয়ে ওদেরকে নিষেধ করে পুকুরের পানি ব্যবহার না করার জন্য। তার নিজের পুকুরে অন্যকে ব্যবহার না করতে বলায় পুলিশ সদস্যের অপরাধ। এরই জেরে দুর্বৃত্তরা রাতারাতি ওয়াল করে অবরুদ্ধ করেছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এস,আই, আবুল কালাম শেখ বলেন, গোবরা মৌজার ১৭৫ নং দাগের ৯০ শতাংশ জমির ৬৫ শতাংশ জমির ক্রয় সূত্রে মালিক আমি। আমি বাড়িঘরে না থাকার কারণে আমার বাড়ির পুকুরের পানি গাছ এর ফল ফলাদী সব কিছুই ভোগ করে আমার প্রতিবেশীরা। আমার পুকুরের পানি আমরা ব্যবহার করি, প্রতিবেশীরা সেই পানি নষ্ট করছে দেখে আমি তাদের নিষেধ করি। এই আমার অপরাধ। তাছাড়া বহু বছর যাবত আমার পাশের বাড়ির লোকেরা আমার জায়গা থেকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, গতকাল রাতে আমার পাশের বাড়ির টিপু সুলতানের স্ত্রী নার্গিস বেগম, নিহাম শেখ, কামরুল শেখ, সিয়াম শেখ সহ এলাকার কতিপয় কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তায়, আমারই যায়গার ভিতরে ওয়াল করে আমাদেরকে বাড়ি খেকে বের হতে নিষেধ করে ও মেরে ফেলার হুমকী দেয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নার্গিস বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলে আদালতে যাওয়ার কথা বলে তড়িঘড়ি করে স্থান ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ থানার এস,আই ওবায়দুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অবৈধ দেওয়াল উচ্ছেদের কথা বলে সকল পক্ষকে কাগজাদী নিয়ে থানায় যেতে বলেন।