গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মা ও মেয়ে  ৯ ঘন্টা তালাবদ্ধ।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৬-৩০, ৭:০৪ অপরাহ্ন /
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মা ও মেয়ে  ৯ ঘন্টা তালাবদ্ধ।

প্রকাশিত,৩০,জুন, ২০২৪

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ 

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় মা ও মেয়েকে  প্রায় ৯ ঘন্টা  তালাবদ্ধ করে রাখে প্রতিপক্ষ । 

 শুক্রবার বিকাল ৫ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত   উপজেলার  রাঘদি ইউনিয়নের  ডোমড়া কান্দি উত্তর পাড়া গ্রামের  মাজেদ মোল্লার স্ত্রী রুবিয়া বেগম ও মেয়ে  সোনিয়া আক্তারকে বসত  ঘরের দরজার বাহির থেকে  তালাবদ্ধ করে রাখে।

একই এলাকার  শহর আলী মোল্লার ছেলে  আবু সাঈদ মোল্লা ও  রহমান মোল্লা ছেলে  হাবি মোল্লা। 

মুকসুদপুর  থানা পুলিশ খবর পেয়ে  মা ও মেয়েকে  প্রায় ৯ পরে তালা বদ্ধ থেকে মুক্ত করেন। 

এ বিষয়ে দীর্ঘ  ৯ ঘন্টা  তালাবদ্ধ   থেকে সদ্য মুক্তি হওয়া  সোনিয়া আক্তার সাংবাদিকদের জানান, জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে  আবু সাঈদ মোল্লা গংদের সঙ্গে  বিরোধ চলে আসছিল । 

এর জের ধরে  শুক্রবার  বিকাল ৫ টার দিকে 

আমি ও আমার মা ঘরে থাকা অবস্থায়  দরজার বাহির থেকে  তালা লাগিয়ে  দেয়  আবু সাঈদ মোল্লা ও  হাবি মোল্লা। 

পরে রাত ২ টার দিকে মুকসুদপুর থানা পুলিশের এএসআই  সরোয়ার  আমাদের ঘরের দরজার বাহির থেকে দেওয়া  তালা  খুলে দেয়। 

তিনি আরো জানান, মুকসুদপুর থানা পুলিশের  এস আই  মোবারকে সন্ধার সময়  ঘটনাটি বললেও  তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন । তিনি আরো জানান, আমি ও আমার মা  ঘরের ভিতরে তালাবদ্ধ থাকা অবস্থায়  কিভাবে বাহির হবো বললেও  তিনি বলেন চেয়ারম্যানের কাছে যাও। 

এ বিষয়ে প্রতিবেদক  মুকসুদপুর থানা পুলিশের এসআই  মোবারকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে  বার বার ফোন দিলেও তিনি  ফোন রিসিভ করেননি। 

এ বিষয়ে  মুকসুদপুর  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল আলমকে রাত ১ টার  দিকে প্রতিবেদকের  ফোনে কথা হলে তিনি  জানান, এ বিষয়ে আমার  কিছু জানা নেই  আপনার কাছ থেকে অবগত হলাম  দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। 

এ বিষয়ে  এএসআই সরোয়ার জানান, ওসি স্যার  আমাকে জানালে আমি  ঘটনাস্থলে গিয়ে  মা ও মেয়েকে ঘরের বাহির থেকে দরজায় তালাবদ্ধ অবস্থায় পাই। 

পরে বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায়  বৃদ্ধ   এক মহিলা ঐ তালার চাবি দেয়।  বৃদ্ধের দেয়া   চাবি দিয়ে  মা রুবিয়া বেগম  ও মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে রাত ১ টা ৩৮ মিঃ সময় তালাবদ্ধ থেকে মুক্ত করি এবং জানতে পারি আবু সাঈদ মোল্লা ও  হাবি মোল্লা ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে  মা ও মেয়েকে আটক করে রাখে । 

এ বিষয়ে আবুসাইদ ও হাবি মোল্লাার বাড়িতে গিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ, গত ২৫ এপ্রিল বাড়ির জায়গা জমির  বিরোধের জের ধরে মাজেদ  মোল্লার স্ত্রী রুবিয়া বেগমকে কুপিয়ে পিটিয়ে মারপিট করে আবু সাঈদ মোল্লা ও  হাবি মোল্লাসহ ৯ জন। 

পরে তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার আহত মা রুবিয়া বেগমকে মাদারীপুর জেলার রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। 

২৯ তারিখে ৯ জনকে আসামি করে রুবিয়া বেগমের

মেয়ে সোনিয়া আক্তার বাদী হয়ে  গোপালগঞ্জ 

আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- মুকসুদপুর সি আর, ২৯৩/২৪ 

মামলাটি চলমান রয়েছে।