গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি ইউপি মহিলা সদস্য লাইজুর আশ্রায়নের নামে টাকা আত্মসাতের কাহিনি ফাঁস।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৩-৩১, ২:১০ অপরাহ্ন /
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি ইউপি মহিলা সদস্য লাইজুর আশ্রায়নের নামে টাকা আত্মসাতের কাহিনি ফাঁস।

প্রকাশিত,৩১, মার্চ,২০২৪

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ

মহিলা মেম্বার লাইজু মেম্বারের প্রতারণার ক্ষপ্পরে পড়ে তারই নির্বাচিত এলাকার প্রকৃত কিছু ভূমিহীন শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে পথে বসেছে। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাটগাতি ইউনিয়নে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য লাইজু বেগম আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কিছু ভুক্তভোগী।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সারা দেশে ভূমিহীন ও গরিব অসহায়দের মাঝে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর প্রদান করেন, সেই সাথে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ভূমিহীনদের ঐ জমি দলিল করে দেন বিনা মূল্যে।

সারা দেশে সরকারের বিনামূল্যে দেওয়া ঘর নিয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদার সহ জন প্রতিনিধিদের বাণিজ্যের কারণে সরকার কড়া ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। এমনি একজন অসাধু মহিলা মেম্বার লাইজু বেগম, অবৈধ ভাবে টাকা নিচ্ছে আশ্রায়নের ঘর দেবার কথা বলে। দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার উপর। একেতো চুরি তার উপর ছিনা চুরি।
বিপ্লব চৌধুরী নামক এক ভুক্তভোগী বলেন, আমি পাটগাতি দুই নং ওয়ার্ডের একজন ভূমিহীন। আমার নিজস্ব বলতে কিছুই নাই আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেওয়া মজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে দেওয়া ঘর নেবার জন্য নিয়ামানুজায়ী কাগজাদি জমা দেই। পরবর্তীতে আমাদের মহিলা মেম্বার এসে আমাকে বলে আমি তোকে ঘর পাইয়ে দেব অফিসে কিছু টাকা দিলে ঘর পেয়ে যাবে, আমি তার কথায় তাকে প্রায় দেড় বছর আগে ১২ হাজার টাকা দেই, সে আমাকে ঘর তো দেয়নি। টাকাটা ফেরত চাইলে আমাকে নানা রকম হুমকী ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে।
নাম না জানাতে ইচ্ছুক এক ভুক্তভোগী ভূমিহীন মহিলা জানান আমি পরের জায়গায় থাকি কোজ করে ভাত খাই, সরকারের দেওয়া ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে লাইজু মেম্বার আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয় দুই বছর পর্বে। সে আমাকে ঘর দয়ে নাই, টাকাটা চাইতে গেলে লাইজু আমি ও আমার পরিবারের লোকজনদের হুমকী দিচ্ছে। আমরা অনেক বিপদে আছি। ব্যপারটি নজরে এনে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংস্লিস্টদের নিকট আবেদন করছি।
এ ব্যপারে আরো এক ভুক্তভোগী ললিতা বলেন, আমি জমিতে কাজ করে খাই আমি একজন ভূমিহীন।আমি লাইজু মেম্বারে পাল্লায় পড়ে প্রায় দেড় বছর আগে সুদে ১০ হাজার টাকা ঘরের আশায় দেই সে আমাদের ঘরটা দেয় নাই। টাকাটা চাইতে গেলে সে আমাদের হুমকী ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে।

এ ব্যপারে অভিযোগকারীদের অভিযুক্ত লাইজু মেম্বার এর কাছে মুঠফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কারোর কাছ থেকে কোন টাকা নেই নাই। এক বছর আগে আমি ওদের ফ্রিতে ঘর দিয়েছি। চাড়ালরা চড়-থাবা খাওয়ার জন্য আমার কথা বলছে। চড়-থাবা ঠিকমতো চাড়ালদের দিলে আমার কথা বলতো না।
বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অসহায় ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর প্রদান করেছে বিনা মূল্যে। এই সকল ঘর নিয়ে যারা বাণিজ্য করেছে তাদের মাঝে এই লাইজু মেম্বার একজন। এর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করা হল।