গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ বিশ্বাসের জামিন মুঞ্জুর।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৬-০২, ৫:৪৮ অপরাহ্ন /
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যুবলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ বিশ্বাসের জামিন মুঞ্জুর।

প্রকাশিত, ০২,জুন, ২০২৪

মোঃশিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ।

টুঙ্গিপাড়ার আওয়ামী যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত মুলক প্রমানিত হওয়ায় গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ আদালত আজ রবিবার তাকে বেকেসুর খালাস করে দেন।
গত শুক্রবার আনুমানিক ৯টার সময় বি এম মাহামুদকে পাটগাতী বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন প্রমাণিত হওয়ায় মহামান্য আদালত আজ তাকে জামিন দেন। এই মামলায় মাহামুদ বিশ্বাসের নাম না থাকলেও তাকে প্রতিহিংসামূলক গ্রেফতার করা হয়। মাহামুদ বিশ্বাস এমন এক পরিবারের সন্তান যার পরিবার সারা জীবন আওয়ামী লীগের দুর্দিনের সাথি হিসাবে পরিচিত। আজ যারা টুঙ্গিপাড়ার বড় বড় নেতা হিসাবে আছে তারা বেশির ভাগ লায়েক আলী বিশ্বাসের পরিবারের হাত ধরে এসেছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় গত ৮ই মে গিমাডাঙ্গা আইডিয়াল স্কুল ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাকালীন সময় পুলিশ ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয়। গন্ডগোলে সাধারণ ভোটার সহ টুংগীপাড়া থানার এস আই বদিয়ার আহত হয়। নির্বাচন পরবর্তী সময় এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়, মামলায় উপজেলা নির্বাচিত চেয়ারম্যান এর যারা বিরোধিতা করেছে তাদের বেছে বেছে ২০ জনের নাম দিয়ে সাথে অজ্ঞাতনামা ২০০ জনকে রেখে মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী হন টুঙ্গিপাড়া থানার এস আই বদিয়ার। ঘটনার সাথে জড়িত নয় তাদেরকেও এই মামলায় জড়ানো হয়।
গত ৮ই মে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে গিমাডাঙ্গা আইডিয়াল স্কুল ভোটকেন্দ্রে গোলযোগের খবর শুনে গণমাধ্যম কর্মীদের একটি দল ঘটনা স্থলে হজির হয়ে এস,আই বদিয়ারকে ঘটনাস্থলে পায় নাই । শোনা যায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গোলযোগের ব্যপারে সাধারণ ভোটারদের কাছে জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন, এস,আই বদিয়ার ভোট কেন্দ্রে আসা ভোটারদের দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিতে বলছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেই ভোটারদের সাথে নিয়ে দোয়াত কলম মার্কায় ছিল মারতে শুরু করে।, ব্যাপারটা আনারশ প্রতীকের লোকজনের নজরে পড়লে তারা বাঁধা দেয় পরবর্তীতে কথা কাটাকাটি এবং সংঘাতের সৃষ্টি হয়। সংঘাতে এস,আই বদিয়ার সহ সাধারণ ভোটাররাও আহত হন। তারা আরো বলেন প্রশাসনের লোক হয়ে যদি প্রার্থীর পক্ষে ভোট কাটেন তাহলে এটা কেমন হয়।
টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গার সাধারণ মানুষ উপজেলা নির্বাচনে মাটির টানে কাজ করেছে। তার মানে এই নয় যে তাদেরকে মামলা দিয়ে নাজেহাল করতে হবে। অপরদিকে সাধারণ মানুষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করবে। জেনে শুনে কি কেউ গরম পানিতে পাড়া দিতে চায় । পুলিশের উপর হামলা কেন? এ কারণে পুলিশ ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে সংঘাতের সৃষ্টি হলো। ব্যাপারটি গভীর তদন্ত করে প্রকৃত দোষির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।