গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তার কোয়াটার্স থেকে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৯-১২, ২:৩৩ অপরাহ্ন /
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তার কোয়াটার্স  থেকে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।

প্রকাশিত,১১,সেপ্টেম্বর

মোঃ শিহাব উদ্দিন ,গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডক্টরস কোয়াটার্সের ফ্ল্যাটের বন্ধ ঘর থেকে কাশিয়ানী হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ রেজাউর রহমান রাসেলের স্ত্রী আখি আলমগীরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পুরাতন হাসপাতালের ডক্টরস কোয়াটারের নিচতলার ফ্লাটের একটি রুম থেকে নিহতের  ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাশিয়ানী থানার এসআই মোঃ তুষার।

জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই মাস্টার্স পড়ুয়া আখি আলমগীর স্বামীর সাথে হাসপাতালের ১ নম্বর পুরাতন ডক্টরস কোয়াটার্সের নিচতলার ফ্লাটের একটি রুমে থাকতেন।জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই মাস্টার্স পড়ুয়া আখি আলমগীর স্বামীর সাথে হাসপাতালের ১ নম্বর পুরাতন ডক্টরস কোয়াটার্সের নিচতলার ফ্লাটের একটি রুমে থাকতেন।

কাশিয়ানী থানার এসআই মোঃ তুষার বলেন, কাশিয়ানী হাসপাতালের চিকিৎসক রেজাউর রহমান রাসেল বিয়ের পর থেকেই হাসপাতালের ডক্টরস কোয়াটার্সে থাকতেন। মাঝে মধ্যে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হলেও তা ঠিক হয়ে যেত। আখির বাবার বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। আখির স্বামী রেজাউর রহমান রাসেলের বাড়ি ঢাকার যাত্রাবাড়ির রহমতপুর এলাকায়।।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ডক্টরস পুলিশ কোয়াটার্সের ফ্ল্যাটের বন্ধ ঘর থেকে কাশিয়ানী হাসপাতালের ডাক্তার মোঃ রেজাউর রহমান রাসেলের স্ত্রী আখি আলমগীরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।আখির বাবা-মা তার স্বামী রেজাউর রহমান রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন, রাসেল নানা নেশায় আসক্ত ছিলেন। আখি অনেক চেষ্টা করলেও তাকে নেশা থেকে ফিরাতে পারেননি। এ নিয়ে দুই জনের মধ্যে মাঝে মনোমালিন্য হতো। আমাদের মেয়েকে তার স্বামী হত্যা করেছে।

এসআই তুষার বলেন, আখি আলমগীরের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট রাতেই তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আখি আলমগীরের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।