গাজীপুর ৫ আসনে ভোটের যুদ্ধে এগিয়ে আখতারউজ্জামান।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-১২-২৫, ৯:৪১ অপরাহ্ন /
গাজীপুর ৫  আসনে  ভোটের যুদ্ধে এগিয়ে  আখতারউজ্জামান।

প্রকাশিত,২৫,ডিসেম্বর,২০২৩

মোঃ মুক্তাদির হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার।

আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে গাজীপুর ৫ আসনে স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আট জন প্রার্থী আছেন এবং জাকের পার্টির এন এম মরিরুজাম্মান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

কালীগঞ্জ উপজেলার ( সংসদীয় আসন -১৯৮,গাজীপুর ৫) পুবাইল,বাড়িয়া সহ নিয়ে গঠিত এই নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যা প্রায় তিন লাখ,তেত্রিশ হাজার, আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এই এলাকার আওয়ামী লীগের নিশ্চিত আসন হিসেবে ধরা হয়। কারণ স্বাধীনতার পরে গত এগারটি সংসদ নির্বাচনে আট বারই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসনে তিনবারের নির্বাচিত ও বর্তমান সাংসদ আওয়ামীলীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, আর স্বতন্দ্র প্রার্থী ডাকসুর সাবেক দুই বারের জিএস,ও ভিপি,এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক,ও দুইবারের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জন নন্দিত জননেতা আখতারউজ্জামান , জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন (লাঙ্গল),, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর প্রার্থী মাওলানা আলামিন দেওয়ান আল আবেদী, ( চেয়ার),স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেন স্বপন, (ঈগল পাখী) বাংলাদেশ সুপ্রিম (পার্টি) উর্মি ভান্ডারী, একতারা,গনফোরামের প্রার্থী সোহেল মিয়া,(উদীয়মান সূর্য) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, জাতীয় সমাজ তান্ত্রীক দল ( জাসদ) মশাল প্রতীক। বর্তমানে কাগজে কলমে আট জন প্রার্থী থাকলেও বেশীরভাগ প্রার্থী নেই ভোটের মাঠে। ভোটারদের সাথে তাদের কোন যোগাযোগ নেই। সাধারণ ভোটাররা বেশীরভাগ প্রার্থীকেই চিনেন না।

নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় আছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী তিন বারের বারের নির্বাচিত এমপি,মেহের আফরোজ চুমকি এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাকসুর সাবেক দুই বারের জিএস,ও ভিপি জন নেতা ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে এই  দুজন প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে সাধারণ ভোটারদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করছেন।  সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এই দুই জনের মধ্যেই লড়াই হবে বলে বুঝা যাচ্ছে।বাকি ছয়জন প্রার্থীর চোখে পড়ার মতো কোন কার্যক্রম নেই। উপজেলার ও বেশ কয়েকটি হাট-বাজারে ঘুরে লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি নির্বাচনে না আসায় বিএনপি পন্থী ভোটারদের একটি অংশ আখতারউজ্জামান এর ট্রাক প্রতীকে ভোট দিবেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতাদের একটি অংশ ও বিভন্ন ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যানরা সমর্থন করছেন,সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান কে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত ও আওয়ামী লীগ পন্থী বেশিরভাগ ভোটার ট্রাক মার্কায় ভোট দিবেন। এছাড়া ক্লিন ইমেজ এবং ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কের কারণে বিএনপি পন্থী ভোটারদের একটি অংশ গোপনে আমজাদ হোসেন স্বপন এর পক্ষে কাজ করছেন। মূলত বিএনপি পন্থী ভোটারদের ভোটের উপর নির্ভর করবে।নাগরী ইউনিয়ন,পুবাইল ইউনিয়ন ,বাড়িয়া ইউনিয়ন,জাঙ্গালীয়া ইউনিয়ন,মোক্তারপুর ইউনিয়ন, জামালপুর ইউনিয়ন , বাহাদুরশাদী ইউনিয়ন,কালীগঞ্জ পৌরসভা, বক্তাপুর ইউনিয়ন,তুমুলিয়া ইউনিয়নের ভোটাররা মনে প্রানে বিশ্বাস করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান আমাদের ভোটের অধিকার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা আমাদের সুখে দুঃখে পাশে আছেন। তাই আমাদের যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করে বাংলাদেশের প্রধামন্ত্রীকে   গাজীপুর ৫ আসনটি উপহার তুলে দিতে পারবো।

এই আসনের নতুন ও তরুণ ভোটাররা মনে করছেন আখতারউজ্জামান নির্বাচিত হলে তরুণদের মূল্যায়ন করবেন তাই তারা ট্রাক মার্কায় ভোট দিবেন।

প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতারা মনে করছেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন আক্তার উজ্জামান কে ট্রাক মার্কায় ই ভোট দিবেন আওয়ামীলীগের ভোটাররা। শেষ সময়ে ট্রাক মার্কার জয় হবে। তুমিলিয়া ইউনিয়ন থেকে বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ আবুবকর মিয়া বলেন,আমার ইউনিয়ন থেকে ৮০/ ভোট ট্রাক মার্কায় পড়বে, এবং ইনশাআল্লাহ আগামী ৭ জানুয়ারি ট্রাক মার্কায় ভোটের ব্যবধান হবে প্রায় লক্ষাধিক, ভোটের মাধ্যমে আমরা সৎ ও জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবো ইনশাআল্লাহ।

তবে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে দলীয় প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান হবে ৮০ ( ট্রাক) -২০/ নৌকা এর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বাকি ছয়জনকে কেউ তেমন চেনে না। অধিকাংশ ভোটার মনে করছেন ও ট্রাক প্রতীক প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী আমাদের কালীগঞ্জে ভোট পাবেনা,এমনটাই বলেছেন কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও কালীগঞ্জ পৌর ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো বাদল হোসেন। মোক্তাপুর ইউনিয়ন এর বার বার নির্বাচিত সফল সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম সরকার (তোরণ) আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমার ভোট আমি দেবো তাকে খুশি তাকে দেবো এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জন নন্দিত ও জননেতা আখতারউজ্জামান কে ট্রাক মার্কায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়যুক্ত করে কালীগঞ্জ কে একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো বলে আমার বিশ্বাস।আমাদের কালীগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার কোন যানবাহন নেই, আখতারউজ্জামান এমপি হলে ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্তা খুব দ্রুত সম্ভব হবে, তাই আমরা আগামী ৭ তারিখে ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে পূনরায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পরবো বলে আমি মনে করি।