গাজীপুরে দুইভাই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-১০-২৪, ৯:৪৫ অপরাহ্ন /
গাজীপুরে দুইভাই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি গ্রেপ্তার ।

প্রকাশিত,২৪, অক্টোবর,২০২৩

মেহেদী হাসান শাহীন, গাজীপুরঃ

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাঙ্গালগাছ এলাকায় দুই ভাই শরিফুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত এক চায়ের দোকানদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন, পিরোজপুর মাঠবাড়িয়া থানার বাশবুনিয়া গ্রামের হাতেম আলীর ছেলে আব্দুল আউয়াল (৫১)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাঙ্গালগাছ এলাকায় চায়ের দোকানদারি করেন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪ টায় গাজীপুর সদর থানাধীন শিমুলতলী বাজার সমরাস্ত্র কারখানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন গাজীপুর র‍্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল।

মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর র‍্যাব-১ কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ ইয়াসির আরাফাত হোসেন।

তিনি জানান, গত ২০ অক্টোবর গাজীপুর মহানগরীর বাঙ্গালগাছ এলাকায় প্রকাশ্যে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়৷ এঘটনায় নিহতদের বাবা জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে গাজীপুর সদর থানায় অঙ্গতানামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় গাজীপুর র‍্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি গাজীপুর মহানগরীর শিমুলতলী এলাকায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত চায়ের দোকানদার আউয়াল অবস্থান করেছেন। পরবর্তীতে আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার থেকে একটি বাটন ফোন ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি জানায়, গত ২০ অক্টোবর সন্ধা ৭ টার দিকে নিহত শফিকুল ইসলাম ও শুক্কুর আলীসহ ৪ জন একটি অটোরিকশা করে বাঙ্গালগাছ বাঁশবাজার এসে স্থানীয় বিল্লালের দোকান(বাঁশ রাখার পাশে) ভাংচুর করে। এসময় তারা মুদি দোকানেও ভাংচুর করে। পরে স্থানীয় দোকানদার পরে জুলহাস ও মমিনের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল আউয়ালসহ অজ্ঞাত আরোও ৩/৪ জন আসামী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ চেইন ও ঘাসকাটা কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

র‍্যাবের কমান্ডার জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের তথ্য আমরা পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে এখন নাম প্রকাশ করছি না। খুব শীগ্রই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হবে।