গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে অন্তঃসত্ত্বা নারী খুন।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৫-২৬, ১১:৩৭ অপরাহ্ন /
গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে অন্তঃসত্ত্বা নারী খুন।

প্রকাশিত, ২৬,মে,২০২৪

এম এইচ শাহীন, গাজীপুর প্রতিনিধি:

ধারালো ছুরিকাঘাতে তিন মাসের এক গর্ভবতী রোমানা আক্তার নামে এক স্কুল শিক্ষিকা খুন হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন সাবিনা (২২) নামে আরও এক নারী। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রোমানা আক্তার (২৮), বরিশাল সদর থানার নয়ানী চরকাওয়া এলাকার আব্দুল মনসুরের মেয়ে ও একই জেলার বন্দর থানার রায়পুরা গ্রামের হাসান হাওলাদারের স্ত্রী।
নিহত রোমানা দক্ষিণ সালনা এলাকার মুন লাইট প্রি- ক্যাটেড এন্ড হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, আর তার স্বামী হলেন একই এলাকার জেরিকো নামের এক পোশাক কারখানার চাকুরী করতেন।

আহত সাবিনা হলেন- শেরপুর সদরের ধুপেরচর এলাকার হামিদুল ইসলামের মেয়ে ও আয়নাল হকের স্ত্রী। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে ও স্থানীয় এমবিএম নামের পোশাক কারখানায় কর্মী কায়েস রানা (২৭)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকায় মন্ত্রী বাড়ি রোডের স্থানীয় গোলাম মোস্তফার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন হাসান হাওলাদার দম্পতি। পূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার বিকালে পাশের ভাড়াটিয়া হামিদুলের মেয়ে সাবিনার সঙ্গে ঝগড়া হয় অপর ভাড়াটিয়া কায়েস রানার।
তাদের ঝগড়া ও ধস্তাধস্তি দেখে তা থামাতে যান রোমানা আক্তার নামের অপর ভাড়াটিয়া। এক পর্যায়ে কায়েস রানা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত শুরু করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই রোমানা আক্তার মারা যান। এসময় রোমানাকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন সাবিনা নামের এক ভাড়াটিয়া। এসময় তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঘাতক কায়েস রানাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহ আলম জানান, নিহত রোমানা তিন মাসের গর্ভবতী ছিলেন। দক্ষিণ সালনা এলাকার মুন লাইট প্রি-ক্যাটেড এন্ড হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। একই বাড়ির ভাড়াটে অবিবাহিত কায়েসের সঙ্গে ময়লা ফেলানো নিয়ে সাবিনার পূর্ব শত্রুতা সৃষ্টি হয়েছিল। এছাড়াও এ খুনে অন্য কোনো কারণ ছিল কিনা, সে ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, কী কারণে ঝগড়া বা রোমানার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় কায়েস রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরিটি উদ্ধার করেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মরদেহের ময়নাতদন্তসহ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীণ।