প্রকাশিত,২৪,জুন ,২০২৩
মেহেদী হাসান শাহীন, গাজীপুর প্রতিনিধি।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রঙ্গিল বাজার এলাকায় শহিদুল নামে এক ব্যক্তিকে চলন্ত মিনিবাস থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাসের চালক ও হেলপারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর গাড়ির কন্ডাক্টরকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রঙ্গিল বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের বাড়ি- গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৬৫)। এসময় নিহত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাহেরা খাতুন (৫৫) আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় গাড়িটির কন্ডাক্টর মোঃ হৃদয়(১৯) কে আটক করা হয়েছে। আটক কন্ডাক্টরের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার শম্ভুগঞ্জ এলাকার মোঃ সুমন মিয়ার ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে নিহতের স্বজন কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে শহিদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে স্থানীয় মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যায় রঙ্গিল বাজার এলাকায় পৌঁছে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় মাওনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহগামী একটি মিনি বাস শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাহেরা খাতুনকে ধাক্কা দিয়ে ধীরে ধীরে চলতে থাকে। সে সময় শহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে দৌড়ে গাড়িতে ওঠেন এবং স্ত্রীকে ধাক্কা দেওয়ার বিষয় নিয়ে চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করতে থাকেন। চালক মিনিবাসটি নিয়ে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করতে থাকেন। কিছুদূর যাওয়ার পর শহিদুল ইসলামকে গাড়ি থেকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দেয় হেল্পার । এ সময় শহিদুল ইসলামের পরনের লুঙ্গি গাড়ির দরজার পাশে একটি হুকের সাথে আটকে যায় এবং রাস্তার উপর ঝুলে থাকে। ওই অবস্থায় তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে বেশ কিছু পথ অতিক্রম করে, গাড়িটি থেমে গিয়ে শহিদুল ইসলামকে রাস্তার উপর ফেলে দেয়। এতে শহীদুল গুরুতর আহত হন। তিনি আরো বলেন, পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় আল হেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, এলাকাবাসী কন্ডাক্টরসহ মিনি বাসটি আটক করেছে। তবে গাড়ির চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :