প্রকাশিত,২৫,অক্টোবর
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এশিয়ান টিভির গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি মোঃ খালেদ হোসেন ও জাভেদ হোসেন মিলে একটি প্রেসক্লাব খুলে গাইবান্ধার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে একের পর এক হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।
খবর নিয়ে জানাযায়, গাইবান্ধা শহরের কাচারী বাজারে অবস্থিত গাইবান্ধা প্রেসক্লাব নামে বহু বছর আগে সংগঠনটি জেলায় প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেক প্রবীন ও মেধাবী সাংবাদিকরা এই ক্লাবটিতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন যেখানে সদস্য রয়েছে প্রায় ১শ উপরে এই ক্লাবের সদস্য বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্রিকার প্রতিনিধিগণ। মূল ধারার সাংবাদিক ছাড়া এই ক্লাবে সদস্য হতে পারেনা না অনেকেই।
এতেই বাজে বিপত্তি গাইবান্ধায় অনেক সাংবাদিকরা মূলধারার ক্লাব টিতে সদস্য পদ না পেয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রেসক্লাবের নামে বিভিন্ন দোকান খুলে বসেছে আর এই দোকানের সদস্যরা হলেন বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ইউটিউবার। তাদের সাপোর্টে জেলার প্রবীণ সাংবাদিকরা এই পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।।
অনুসন্ধানে জানাযায় খালেদ হোসেন ফ্যাসিবীদ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের সদর উপজেলা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন আর এই ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী বিভিন্ন ব্যবসায়ী ইটভাটা বালুর ব্যবসায়ীকে কৌশলে চাঁদা দাবি করেন চাঁদা দিতে অস্বীকার জানালে বিভিন্ন অনলাইন ও টেলিভিশনে নিউজ দেওয়ার হুমকি দেয়া হয়। এমনকি ভুক্তভোগীদের নাম্বারে ভূয়া সচিব সেজে ফোন দিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো হয়। এরপর দুদুকে মামলা দেবে জেলা টিএনও বরাবর অভিযোগ দেবে এসব জানায় মিজানুর রহমান সবুজ নামে এক ভুক্তভোগী।
গত এক সপ্তাহ আগে এমনই একটি নিউজ তথ্য উপাত্ত ছাড়া এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে এশিয়ান টেলিভিশনে এবং ডেইলি বাংলাদেশ ও সবুজ বাংলা পত্রিকায় ভুয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে যা বিভিন্ন দপ্তরে ও সাংবাদিক মহলে মোঃ খালেদ হোসেন ও জাভেদ হোসেনকে নিয়ে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
গাইবান্ধার আলোচিত টুকু হত্যা মামলার আসামি খালেদ হোসেন ১৫ বছর সাজা ভোগ করেছেন।
গাইবান্ধা সদর থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার বিরুদ্ধে আরো দুইটি নিয়মিত মামলার রয়েছে একটি মামলার আসামি ৩১ নাম্বার অপরটি ৬০ নাম্বার আসামি এমন একজন ব্যক্তি কিভাবে সাংবাদিক পরিচয়ে জেলা শহরে ঘুরে বেড়ায় অনেকের মনে প্রশ্ন। এবং জনপ্রিয় স্যাটেলাইট চ্যানেল এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি হিসাবে কিভাবে দায়িত্ব পালন করে এ সাংবাদিক মহলে নিয়ে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে জাবেদ হোসেনের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সাইবার ক্রাইম জুয়া ও মাদকের মামলা সহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি জাবেদ হোসেন, চ্যানেল এস এর গাইবান্ধা প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেন, বলে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে পরিচয় দেয়, চ্যানেল এস এর হেড অফিসে কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান অনেক আগেই জাবেদ হোসেন কে চ্যানেল এস থেকে চাকরিচুক্ত করা হয়েছে। তিনি আমাদের প্রতিনিধি নন।