গলাচিপার পৈত্রিক সম্পত্তিতে জোর পূর্বক বীজ রোপণ চেষ্টার অভিযোগ।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৯-০৭, ৯:৪৪ অপরাহ্ন /
গলাচিপার পৈত্রিক সম্পত্তিতে জোর পূর্বক বীজ রোপণ চেষ্টার অভিযোগ।

প্রকাশিত,৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় নিজ ভোগদখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তিতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বীজ রোপণ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদার হাওলা গ্রামে। প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে ও জমির মালিক ছত্তার হাওলাদারের দুই ছেলে মনির হোসেন এবং মহিউদ্দিন জানান, আমার বাব-দাদাদের রেকর্ডীয় জমি আমরা ওয়ারিশ হিসেবে মালিক এবং আমরা দুই ভাই আরো সাব কবলা দলিল মূলে মালিক। বাব-দাদাদের আমল থেকে এই জমি আমাদের ভোগ দখলে আছে। পৈত্রিক সম্পত্তির পাশাপাশি আমরা সাব কবলামূলে জমি ক্রয় করি। যার জে,এল নং- ১০২, খতিয়ান নং- ৪৪, দাগ নং- ৯০৩, ৯০৭, ৯০৯, ৯৩০, ৯৩২, ৯৩৩, ৯৩৬, ৯৩৭, ৯৩৯, ৯৩৫, জমি ৩৬ শতাংশ। উক্ত জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ শাহ আলম খলিফার সাথে পূর্ব হইতে বিরোধ চলছিল। শাহ আলম খলিফা এলাকায় দাপট দেখিয়ে চলে। তার দলে আরো অনেক লাঠিয়াল বাহিনী রয়েছে। সে তার লোকজন নিয়ে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার সময় আমাদের জমির মধ্যে অনুপ্রবেশ করে জোর পূর্বক বীজ রোপণের চেষ্টা করে। এ সময় আমরা নিষেধ করলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। এলাকাবাসী আমাদেরকে অর্ধেক জমিতে এবং শাহ আলমকে অর্ধেক জমিতে বীজ রোপণের জন্য বলে। অবশেষে আমাদের জমির কিছু অংশে শাহ আলম জোর পূর্বক বীজ রোপণ করে। আমাদের বাব দাদাদের সম্পত্তি, কেনা সম্পত্তিও এখন আমরা ঠিক মত ভোগ করতে পারছি না। শাহ আলমের বাহিনী জোর পূর্বক ভোগ দখল করতে চায়। আমরা প্রশাসন ও বৈষম্য বিরোধী অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি। এ বিষয়ে আবু হাওলাদার জানান, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘ ৫০ বছর পর্যন্ত আমরা চাষাবাদ করি। হঠাৎ করে শাহ আলম খলিফা দলবল নিয়ে কিছু জমিতে বীজ রোপণ করেছে। আমাদের আশংকা ভবিষতে সে আমাদের পুরো জমি দখল করে নিতে পারে। এ বিষয়ে শাহ আলম খলিফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওদের ভাই হানিফ হাওলাদারের কাছ থেকে আমি একটি দলিল নিয়েছি। দলিলের জায়গা না পাওয়ায় এবং একই দাগ ও খতিয়ান হওয়ায় আমি ঐ জমিতে বীজ রোপণ করেছি। এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান প্যাদা বলেন, বিষয়টি অনেক পুরনো। এটা নিয়ে প্রায় ৫/৭ বছর পর্যন্ত আলোচনা হচ্ছে কিন্তু কেউই সমাধান দিতে পারেন নি। তবে আমরা অনেক আগে থেকেই জানি এই জমিটির মালিক মহিউদ্দিন, মনির, আবু গং এর পরিবার। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা খান বলেন, বিষয়টি শুনেছি কিন্তু দু’পক্ষের কেউই আমার কাছে আসে নাই। এবিষয়ে আবু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত আবেদন করবেন বলে জানান।এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম খান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।