প্রকাশিত,০৮,মে,২০২৪
সঞ্জিব দাস ,গলাচিপা পটুয়াখালী ,প্রতিনিধি
৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৩০ ঘন্টাই উপজেলাবাসী ছিলেন অন্ধকারে
গলাচিপায় উপজেলায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৩০ ঘন্টাই বিদ্যুৎ ছিল না। এতে গলাচিপা উপজেলার ২ লক্ষাধিক লোক ভোগান্তির শিকার হয়েছে। এসময়ে পৌর শহরে পানি সরররাহ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে। ফলে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে গলাচিপা হাসপাতালের রোগীসহ অন্যান্যদের। অভিযোগ উঠেছে, আকাশে মেঘ কালো হলে কিংবা একটু বাতাস বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যায় এবং আসার কোন খবর থাকে না। এমনকি বিদ্যুৎ অফিসের হটলাইনও ঘন্টার পর ঘন্টা বিজি থাকে। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম উল্টা ক্ষেপে যান।
স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, গলাচিপা উপজেলায় গত দুই দিনে মাত্র ১৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল। তাও ঘন ঘন আসা যাওয়া করছে। ৩০ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে পৌর শহরে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্রাহকরা চরম সংকটে পড়েন। বেশি সমস্যায় পড়তে হয় নারী শিশু ও বৃদ্ধদের।
সোমবার ৬ মে বিকাল ৪টায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০ ঘন্টা বিদ্যুৎ একেবারেই ছিলনা। পরে এলেও তা কেবল আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিল। ৭ মে বুধবার ভোর রাত ৪ টায় থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। বহু বাড়িঘরের ফ্রিজে থাকা মাছ মাংসসহ অন্যান্য সামগ্রী পচে গেছে। গরমে ডিগ্রি পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেজবাহ উদ্দিন জানান, দুই দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় শতাধিক রোগী নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অফিসিয়াল কাজেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। হাসপাতালের বেশ কয়েকজন রোগী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ৩৩ কেভি লাইনের উপর গাছ পড়ে সার্কিট পুড়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধানে এত দীর্ঘ সময় কেন লাগবে, পাল্টা প্রশ্ন করলেই তিনি এই প্রতিবেদকের ওপর ক্ষেপে যান। এক পর্যায়ে তিনি বলেন আপনি যা খুশি লিখতে পারেন, লেখেন বলেই মোবাইল ফোন রেখে দেন। গলাচিপা উপজেলাবাসী আতঙ্কে আছে ঝড় বা বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ আবার কত ঘন্টা থাকবে না।
আপনার মতামত লিখুন :