প্রকাশিত ১১,ফেব্রয়ারি ২০২৪
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা শনিবার (১০ ফেব্রæয়ারি) মোঃ মারুফ (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। পুলিশ ওই দিন অভিযুক্ত মোঃ মারুফকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেছে। গত বুধবার (৭ ফেব্রæয়ারি) উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বড়গাবুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারুফ ওই গ্রামের মোঃ ফেরদাউস হাওলাদারের ছেলে। তবে মোঃ মারুফকে ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়েছে বলে দাবি করেন অভিযুক্তকারীর পরিবার। মামলার বিবরণ জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বড়গাবুয়া গ্রামের মোঃ ফেরদাউস হাওলাদারের ছেলে মোঃ মারুফ একই গ্রামের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। একই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিতো মারুফ। বুধবার বিকেলে স্কুলছাত্রীটি হরিদেবপুর থেকে বোনের বাড়ি গাজীপুর গ্রামে অটো রিকশায় যাওয়ার পথে বড়গাবুয়া গ্রামের একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ মারুফের বাবা মোঃ ফেরদাউস হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে নাইনে পড়ে। ঘটনার দিন আমার ছেলে বাড়িতে ছিলো। কী ঘটছে আমি তা জানি না। আমিও এ ঘটনার প্রকৃত বিচার চাই। এ বিষয় উক্ত এলাকার মোঃ জলিল আকন(৭০) বলেন যে, মহিউদ্দিন চক্রান্ত করে ফেরদাউস হাওলাদারের ছেলে মোঃ মারুফ কে ষড়যন্ত্র মূলক ধর্ষনের কথা বলে এবং অভিযুক্তকারীর বাবা গোলখালী ইউনিয়নের ০৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হাওলাদারের মাধ্যমে মারুফের কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। এতে মোঃ মারুফের বাবা রাজি না হওয়ায় নতুন ফন্দি তৈরি করে বলে আমার মেয়েকে ধর্ষন করেছে। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফোরদৌস আলম খান বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডেকেল টেস্টের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।