প্রকাশিত ,১৩ মে ২০২৪
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় প্রতিপক্ষরা মারধর, জোর পূর্বক জমি দখল ও গাছপালা কেটে নেয়ায় প্রতিপক্ষের হাত থেকে বাঁচাতে বাদী হয়ে মামলা করায় প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়েছেন শাহিন গাজী (৫২)।
শাহিন গাজী হচ্ছেন ডাকুয়া ইউনিয়নের ফুলখালী গ্রামের গাজী বাড়ির আরমান আলী গাজীর ছেলে। মামলাসূত্রে ও শাহিন গাজী জানান, প্রতিপক্ষ জহিরুল ইসলাম, আলি আহম্মেদ শাকিল, মহসিন সিকদার, শাহরিয়া গাজী গং আমার ভোগ দখলীয় জমিতে ফলের বাগান করি। প্রতিপক্ষরা আমার ফলের বাগানের বিভিন্ন প্রজাতীর ফলের গাছ কেটে আমার জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন প্রতিপক্ষদের বাঁধা দিলে তারা আমাদেরকে মারধর করে গুরুতর জখম করে।
আমার জমির মৌজা- ডাকুয়া, জে,এল নং- ৪৮, এসএ খতিয়ান নং- ২৫৩, আর.এস জে.এল নং- ৫৯, আর.এস দাগ নং-১৫৫ এর জমিটি ক্রয় করি। আমার ক্রয়কৃত জমিতে বিগত ৩ বৎসর পর্যন্ত ফলের গাছ লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। প্রতিপক্ষরা লোভের বশবর্তী হয়ে আমার প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার গাছ কেটে ক্ষতি সাধন করে। আমি উক্ত বিষয় নিয়ে গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ ব্যুরোকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রতিপক্ষ এতটাই শক্তিশালী ও দুর্ধর্ষ যে, তারা টাকা পয়সা দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করে নেয়। গায়ের জোরে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে চলে। আমার মামলার প্রতিবেদন টাকার বিনিময়ে ভুল রিপোর্ট বানিয়ে দেয়। আসামীরা উল্টো আমার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে আমাকে হয়রানি করে এবং দাবায় ধমকায়। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিত রায় বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নাই। এটা আদালতে ফয়সালা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :