প্রকাশিত,২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা আমখোলা ইউনিয়নের খোন্তাখালী গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এ বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর পিতা মো. জসিম হাওলাদার মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে গলাচিপা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে ও স্কুল ছাত্রীর পিতা মো. জসিম হাওলাদার (৫২) শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টায় জানান, আমার মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৬) উত্তর সোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করত। উপজেলা ভিন্ন হলেও আঠারোগাছিয়া গ্রামটি আমাদের গ্রামের পাশেই অবস্থিত। আঠারোগাছিয়া গ্রামের মো. রাসেল (৪০) পূর্ব থেকেই আমাদের পরিচিত ছিল। রাসেল এবং তার বাবা আ. ছোবাহান প্রায় আমার বাসায় আসা যাওয়া করত। স্কুলে যাওয়া আসার পথে আমাদের পাশের গ্রামের রাসেল আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখাত এবং বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করত। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে আমি ও আমার স্ত্রী আমাদের কলাবাগান দেখাশোনার জন্য যাই। এই সুযোগে রাসেল আমার ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে পুনরায় বিয়ের প্রলোভন দেখালে আমার মেয়ে তাতে রাজী না হলে রাসেল আমার মেয়েকে অচেতন করে ঘর থেকে নিয়ে জোর পূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি ও আমার স্ত্রী অনেক খোজাখুজি করে আমার মেয়েকে না পেয়ে আমি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। পরে জানতে পারি রাসেল আমার মেয়েকে জোর পূর্বক নিয়ে গেছে। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। এ বিষয়ে সানজিদা আক্তারের মা সাজেদা বেগম (৪০) বলেন, রাসেল আমাদের পূর্ব পরিচিত ছিল। প্রায় সময়ই আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করত এবং খুব ভাল ব্যবহার করত। কিন্তু রাসেল আমার মেয়েকে এভাবে তুলে নিয়ে যাবে তা আমরা ভাবতেও পারি নাই। আমি প্রশাসনের মাধ্যমে আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই এবং রাসেলের দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে আর কেউ যেন কোন মেয়েকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার সাহস না পায়। জানিনা রাসেল আমার মেয়েকে নিয়ে কোন পাচারকারীর হাতে তুলে দিয়েছে কিনা। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পেতে চাই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ বিষয়ে উত্তর সোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইউসুফ, সহকারী শিক্ষক মো. জাহিদ, মো. দুলাল এরা বলেন, সানজিদা আক্তার আমাদের বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্রী। শুনেছি তাকে রাসেল তুলে নিয়ে গেছে। আমরা রাসেলের বিচার চাই। এ বিষয়ে রাসেলের বাবা আ. ছোবাহান (৬০) বলেন, রাসেলের স্ত্রী সন্তান আছে। রাসেল কোন মেয়েকে নিয়ে এসেছে তা আমি জানি না। এ বিষয়ে আমখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মনির বলেন, এভাবে চললে মেয়েরা ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাবে না। স্কুলে ছাত্রীদের ঝড়ে পরার হার বেড়ে যাবে। এতে দেশে শিক্ষার হার কমার আশংকা থেকে যায়। সানজিদার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। মামলা চলমান। আইনি প্রক্রিয়ায় সুরহা হবে।