গলাচিপায় পান চাষে বাম্পার ফলন, স্বাবলম্বী হচ্ছেন শিক্ষিত যুবসম্প্রদয়।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৯-২৪, ১০:০১ অপরাহ্ন /
গলাচিপায় পান চাষে বাম্পার ফলন, স্বাবলম্বী হচ্ছেন শিক্ষিত যুবসম্প্রদয়।

প্রকাশিত,২৪,সেপ্টেম্বর

সঞ্জিব দাস,গলাচিপা পটুয়াখালী, প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় প্রতি বছরের মতো এবছরও পান চাষে বাম্পার ফলন হওয়াতে লাভবান হচ্ছে পান চাষিরা।

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের পান ঐতিহ্য বা ইতিহাস ধরে রেখে শত শত বছর ধরে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পান চাষিদের পরিবার। পাশাপাশি দেশের জিডিপি অর্জনের কৃষি ক্ষাতে এক তৃতীয় অংশ অর্জিত হচ্ছে বৈদেশিক অর্থ। প্রচলিত নিয়মে দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন উন্নতমানের পান গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী, বকুলবাড়িয়া, ডাকুয়া ও গোলখালী ইউনিয়নের পাশাপাশি দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। যার অধিকাংশ পান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি হয়ে থাকে।

গলাচিপা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ৩ শত ৫০ হেক্টর জমিতে পান চাষের আবাদ করা হচ্ছে, তবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ২শত ৫০ হেক্টর জমিতে পান চাষ অর্জিত হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে আবহাওয়াগত কারনে কিছু কিছু এলাকায় অধিক বৃষ্টিজলের কারনে পানের বর তলিয়ে গিয়ে লতা পঁচে নষ্ট হয়ে পান চাষিদের ক্ষতি হলেও, পান এর বাম্পার ফলন হওয়াতে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

সরজমিন দেখা যায়, ৬নং ডাকুয়া ইউনিয়নে বাম্পার পলন হওয়াতে পান গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মোঃ কুদ্দুচ হাওলাদার, মোঃ সাঈদুল ইসলাম, মোঃ ওমর হাওলাদার, ইব্রাহীম মুন্সী ও মোঃ সিদ্দিক হাওলাদার সহ স্থানীয় শিক্ষিত যুবসম্প্রদায়।

তারা বলছেন, এবছর বন্যায় অনেক পানের বর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যদিও এবছর বাম্পার ফলন হওয়াতে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। আমরাও লেখা পড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছি। তারা আরো বলেন, বিভিন্ন এলাকায় পানি নিষ্কাশন না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। স্লুইসগেট, কালভার্ড থাকলেও দখল করে আছে স্থানীয়রা। কৃষকদের স্বার্থে সব গুলো অবৈধ দখল কালভার্ড, স্লুইসগেট খুলে দেয়ার সরকারের পদক্ষেপ গ্রহনের অনুরোধ জানান।

দশমিনা উপজেলা কৃষি কার্মকর্তা মোঃ জাফর আহমেদ জানান, উপজেলার মোট ৭০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৩ টন পান উৎপাদন হয়। তবে, পান চাষিদের সরকারি কোন প্রনদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত আসেনি। তবে কারিগরি সহায়তা হিসাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান দেয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার বলেন, উপজেলার প্রতি বছরই পান চাষে বাম্পার ফলন হয়ে থাকে, এবছর’ও হয়েছে। যদিও চলতি মৌসুমে অধিক বৃষ্টি হওয়ার কারনে কিছু পানের বর ক্ষতি হয়েছে, তবে পানের বাম্পার ফলন হওয়াতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে আমাদের ধারনা।