গলাচিপায় দুর্গাভক্তদের চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জন।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-১০-২৫, ২:২০ অপরাহ্ন /
গলাচিপায় দুর্গাভক্তদের চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জন।

প্রকাশিত,২৫, অক্টোবর,২৪ অক্টোবর ২০২৩

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুর্গাভক্তদের চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গা উৎসব। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও গলাচিপার রামনাবাদ নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে।

ঢাক, ঢোল বাজিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানিয়েছেন ভক্তরা। বৃষ্টিতে একাকার হচ্ছে তাদের চোখের জল। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮ টায় প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে প্রতিমা বিসর্জন। এ বিষয়ে গলাচিপার কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি পূজা কমিটির সভাপতি দিলীপ বণিক জানান, রাত ৮ টা থেকে শুরু করে রাত ১০টার মধ্যে প্রতিমা ও ঘট বিসর্জন করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিমা ম-প থেকে আনতে একটু সময় লাগছে। উপজেলায় ২৯টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ২২টি প্রতিমা এখানে বিসর্জন ও ৭টি ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ গলাচিপা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি সমিত কুমার দত্ত মলয় জানান, ২৯টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ২২টি প্রতিমা এখানে বিসর্জন ও ৭টি ঘট বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে রামনাবাদ নদীর তীরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসন প্রতিমা বিসর্জনে সহায়তা করছে। এ বছর শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিমা বিসর্জন করতে পেরে ভক্তরা খুশি। তিনি আরও বলেন, এ বছর ২৯টি ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গাতিনাশিনী দেবী দুর্গা ধরাধামে এসেছিলেন ঘোড়ায় চড়ে, ফিরছেন একই বাহনে।

গলাচিপা পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রচার সম্পাদক সঞ্জিব দাস বলেন, সাত নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে। বৃষ্টিও পড়ছে। তাই সুবিধাজনক স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘটে করে আসার মধ্য দিয়ে দেবী অশুভ শক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য মর্তবাসীকে সর্তক করে গেলেন। এ বিষয়ে গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, ২৯টি ম-পে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গলাচিপা থানা পুলিশ নিরলস পরিশ্রম করেছেন এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ২৯টি পূজা মন্ডপের প্রতিমার বিসর্জন কাজ শেষ হয়েছে।