প্রকাশিত,০৫ মে ২০২৫
সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় দুই সন্তানের জননী অসহায় নারীর কান্না আজও থামেনি। অসহায় নারী হচ্ছেন গলাচিপা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল বারী খলিফার মেয়ে জেবা খলিফা (৩২)। জন্মের পর থেকেই তিনি গলাচিপা সদর রোডের উত্তর পাশে সরকারি খাস জমির উপরে ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছেন।
তার বাসার পৌর হোল্ডিং নং ৫৫৮। ছোট বেলা থেকেই এই ঘরে তার বেড়ে ওঠা এবং এই ঘরে থাকতেই তার বিবাহ হয়। বিবাহের পর স্বামী সন্তানকে নিয়েও তিনি এখানে বসবাস করছেন। তার বাবা মারা যাওয়ার আগে থেকেই প্রায় আড়াই শতক জমির উপর তাকে থাকার ব্যবস্থা করে যান।
এ বিষয়ে অসহায় জেবা খলিফা বলেন, আমার বাবা বারী খলিফা জীবিত অবস্থায় আমাকে ও আমার স্বামী সন্তানকে এই জায়গায় রেখে যান। আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে টাকা পয়সা এনে এই ঘর তোলার জন্য বাবাবে সহযোগিতা করি।
আমরা ২ ভাই ও ১ বোন। আমি এই জায়গায় প্রায় ৩২ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছি। সরকার বাহাদুরকে সরকারি খাজনা দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত আছি। কিন্তু একটি স্বার্থন্বেষী মহল অফিসের লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে আমার ডিসিআরে বাঁধা বিঘœ সৃষ্টি করছে। আমি গরিব মানুষ। আমার তেমন টাকা পয়সা নাই। আমি ২ সন্তানের জননী।
আমার সন্তানদের পড়ালেখা করাতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তার উপর এই জায়গার ডিসিআর না পেলে আমাকে পথে বসে যেতে হবে।
আমার স্বামী এবং আমি অল্প অল্প করে অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছি এই জায়গার ডিসিআর পাওয়ার জন্য। কিন্তু এখন আমি ডিসিআর পাচ্ছি না। তাই মানবিক বিষয় বিবেচনা করে আমি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে এই জায়গার ডিসিআর পাওয়ার আবেদন করছি। এ বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুশীল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, আসলেই জেবা খলিফা অসহায় নারী।
তারা বাবা থাকা কালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত তিনি এই জায়গায় বসবাস করছেন। গলাচিপা সদর ভূমি অফিসের তহশিলদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রতিবেদন শীঘ্রই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি জায়গায় যারা বসবাসকারী তারাই সরকারি জায়গার প্রকৃত দাবীদার। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে শুনেছি, যাচাই বাছাই করে দেখব।
আপনার মতামত লিখুন :