গলাচিপায় জামায়াতের সভায় সদস্য হলেন মন্দিরের সেবক।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৯-২০, ১১:৪১ অপরাহ্ন /
গলাচিপায় জামায়াতের সভায় সদস্য হলেন মন্দিরের সেবক।

প্রকাশিত,২০,সেপ্টেম্বর

সঞ্জিব দাস,গলাচিপা পটুয়াখালী,প্রতিনিধি

বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ নয়। পটুয়াখালীর গলাচিপায় সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের সিপাইর হাট সংলগ্ন শ্রী নাগমাতা সেভা শ্রম ও মা মনষা মন্দিরের আঙিনায় মতবিনিময় সভাটি হয়। সভায় আগামী রাষ্ট্র পরিচালনায় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন জানিয়ে ফরম পূরণ করে মন্দিরের সেবক ও সাধক শ্রী আচার্য গোবিন্দ গোস্বামী সহযোগী সদস্য হন। এছাড়াও সাত থেকে আট জন সহযোগী সদস্য হওয়ার আগ্রহ জানিয়েছেন বলে জানা যায়।

মতবিনিময় সভায় আমখোলা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি হাফেজ মোহাম্মদ হুমায়ুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ নয়। ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশজুড়ে সার্বিক সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দেশে শান্তি ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মো. শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারী, গলাচিপা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক মাওলানা ইয়াহিয়া খান, গলাচিপা উপজেলা জামায়াতে আমির ডাক্তার মাওলানা মো. জাকির হোসেন ও সেক্রেটারি মো. শামীম হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, শ্রী আচার্য গোবিন্দ গোস্বামী। তিনি বলেন, আমাদের যে ভুল ধারণা ও ভয় ছিল সেটি আর নাই। আমরা মনে করি জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শান্তিতে থাকবে।

উপজেলা জামায়াতে আমির ডাক্তার মাওলানা মো. জাকির হোসেন জানান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ। সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষদের যে ভুল ধারনা, ভয় ও আতংক ছিলো তা দূর হয়েছে। ফলে অনেক লোক জামায়াতের সমর্থক ও সদস্য হিসেবে যুক্ত হতে শুরু করেছে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীরা।