গলাচিপায় গাছ কাটায় বাঁধা দেওয়ায় গাছের মালিককে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-১২-১০, ২:১৭ অপরাহ্ন /
গলাচিপায় গাছ কাটায় বাঁধা দেওয়ায় গাছের মালিককে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি ।

প্রকাশিত, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় গাছ কাটায় বাঁধা দেওয়ায় গাছের মালিককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোলখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পাকা রাস্তার দক্ষিন পাশে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী গাছ মালিক হচ্ছেন খলিলুর রহমান তালুকদার (৬৮)। এ বিষয়ে গুরুতর আহত খলিলুর রহমান তালুকদার জানান, গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে আমার রেকর্ডীয় জমির সম্পত্তির গাছ আমাদের এলাকার প্রভাবশালী শাহনেওয়াজ তালুকদার তার দলের ১২/১৩ জন লোক একত্রিত হয়ে আমার লাগানো চাম্বুল গাছ, রেইন্ট্রি গাছ, মেহগনি গাছ জোর পূর্বক গায়ের জোরে কেটে গাড়িতে তোলার সময় আমি জানতে পেরে বাঁধা দিলে তারা আমাকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং বাংলা দা এর অপর পিঠ দিয়ে পিটিয়ে আমাকে পেটাতে থাকে।

দায়ের একটি কোপ আমার গালে লাগে। আমি ডাক চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধরকারীরা দুটি গাছ নিয়ে তড়িঘড়ি করে চলে যায়। বাকি গাছ তারা ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসী সময়মত না আসলে তারা আমাকে হত্যা করে আমার গাছগুলো নিয়ে যেত। পরে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ বিষয়ে আহত খলিলুর রহমান তালুকদারের ছোট মেয়ে উম্মে নুহা আম্মারা (৩২) জানান, আমার বাবাকে শাহনেওয়াজ তালুকদার সহ ১২/১৩ জন লোক একত্রিত হয়ে খুনের উদ্দেশ্যে মারধর করেছিল।

এলাকাবাসী না পড়লে আমার বাবাকে বাঁচানো যেত না। আমি এর সঠিক বিচার চাই। একই এলাকার আইয়ুব আলী, আফছের আলী প্যাদা, জাহাঙ্গীর প্যাদা, শাকিল প্যাদা এরা জানান, খলিলের ডাক চাৎকার শুনে আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে আসায় মারধরকারীরা আমাদের দেখে পালিয়ে যায়। পরে আমরা খলিল তালুকদারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। এ বিষয়ে শাহনেওয়াজ তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মাকেও ও আমাকে প্রতিপক্ষরা মারধর করেছে। ওখানে আমাদেরও জায়গা আছে। এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. মেজবাহউদ্দিন বলেন, খলিলুর রহমান তালুকদার আমাদের চিকিৎসাধীনে হাসপাতালের ২য় তলায় ৭ নম্বর বেডে ভর্তি আছে। তার মুখমন্ডলে একটি আঘাতের (কাটা) চিহ্ন রয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে কালো কালো দাগ রয়েছে এবং মাথায় চোট লেগেছে। তার অবস্থার অবনতি হলে আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এ বিষয়ে খলিলুর রহমান তালুকদারের মেয়ে উম্মে নুহা আম্মারা বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ১৪, তারিখ- ০৮/১২/২০২৩। এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, গলাচিপা থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আসামীরা রবিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় গলাচিপা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত বাবুল মাতব্বর নামে এক আসামীকে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন।