গফরগাঁওয়ে ৩ সন্তা‌নের জননীর গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফাঁসীতে ঝুলে আত্মহত্যা।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-০৪-২২, ১০:০৩ অপরাহ্ন /
গফরগাঁওয়ে ৩ সন্তা‌নের জননীর গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফাঁসীতে ঝুলে আত্মহত্যা।

প্রকাশিত

গফরগাঁও প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আমেনা খাতুন (৩৬) নামে ৩ সন্তানের জননী গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফাঁসীতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামে বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আমেনা খাতুন মোঃ শাহজাহানের স্ত্রী।
এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মোস্তফা গফরগাঁও থানাকে লিখিত ভাবে জানান।
নিহত আমেনার বড়ভাই মোস্তফা ও থানা লিখিত সূত্রে জানা যায়, ২০ বছর পূর্বে পা‌রিবা‌রিকভা‌বে পাশ্ববর্তী ভালুকা উপজেলার দলিয়া গ্রামে শাহজাহানের সা‌থে
সালটিয়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে আমেনা খাতুনের বিবাহ হয়।

তাদের সংসারে সুমাইয়া (১৭), রিমা (৮) ও তারিফ (৫) না‌মে ৩ সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তারা সুখের শান্তিতে বসবাস করে আসছিল।

দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী আমেনা খাতুন অসুস্থ অবস্থায় স্বামী বাড়িতে বসবাস করছিল। গত ১ মাস আগে অসুস্থ অবস্থায় বাবার বাড়িতে আসে আমেনা। মা- ভাইদের সাথে ভালোভাবে দিন কাটছিল।

প্রতিদিনের মতো খাওয়া দাওয়া শেষ করে সে মা বেগমের সাথে ঘুমাতে যায়। মঙ্গলবার ভোর রাত অনুমান সাড়ে পাঁচটায় দিকে বিছানায় পাশে মেয়েকে না পেয়ে মা তার পুত্রবধূ ডলিকে ডেকে নিয়ে মেয়েকে খুঁজতে বের হয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বসত ঘরের পাশে একটি পিয়ারা গাছের ডালের সা‌থে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় মেয়েকে ঝুলন্ত দেখ‌তে পে‌য়ে তারা চিৎকার দি‌লে পরিবারের লোকজন সহ এলাকার লোকজন ছুটে আ‌সেন।
পরবর্তীতে গফরগাঁও থানা পুলিশকে খবর দি‌লে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ও বিধি মোতাবেক সুরতহাল প্রতিবেদনসহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে। তবে কী কারণে আত্মহত্যা ক‌রে‌ছে তা নি‌শ্চিত হওয়া যায় নি।

ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে গফরগাঁও থানার অ‌ফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম ব‌লেন, লাশ ময়না তদ‌ন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়ে‌ছে এবং থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।