গজারিয়া চিকিৎসার ছুটি,না পেয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে অফিস সহায়কের মৃত্যু,


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৯-০৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন /
গজারিয়া চিকিৎসার  ছুটি,না পেয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে অফিস সহায়কের মৃত্যু,

প্রকাশিত,০৪,সেপ্টেম্বর

ওসমান গনি
মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া উপজেলার অফিসে যাওয়ার পথে আকস্মিক বুকে ব্যাথায় রাস্তার মধ্যেই ঢলে পড়ে মৃত্যু হয় জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক অফিস সহায়কের।
মৃত অফিস সহায়ক মো:মিজানুর রহমান(৪৫) মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ইমাম পুর ইউনিয়নের চর কালিপুরা(বেরু মোল্লাকান্দি) গ্রামের মৃত নুরুল ইসলাম মোল্লার ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার(৪সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ঘটিকায় অফিস থেকে  ফোন পেয়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে ষোলআনী ঝাপটা সড়কে ঢলে পড়ে সড়কেই মারা যান তিনি। মৃত

মিজানুর রহমান এর স্ত্রী লিজা আক্তার জানান,এক সপ্তাহ যাবৎ আমার স্বামী অসুস্থ ছিল,শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন,গতকালও অফিস করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অফিসার,ছুটি দেয় নাই ।উল্টো গেটের বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখেছে।,সেই সময় ঝিমুনি আসলে তাঁকে আট তলায় ফেলে,,চামড়া তুলে নেওয়ার  হুমকি দেয় অফিসার। বুধবার সকালে অফিস থেকে ফোন আসলে অসুস্থ শরীর নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। অফিসার যদি আমার স্বামীকে ছুটি দিত,আমরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারতাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অফিস সহায়ক জানান,মিজানুর রহমান জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -৩ কর্মরত ছিলেন,যার দ্বায়িত্বে ছিলেন বিচারক নাজনীন আক্তার,তিনি মাতৃকালীন ছুটিতে থাকায় অতি:দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো:শহিদুল ইসলাম।তিনি ছুটি দেন নাই মিজানকে।
এ দিকে সহকর্মীর মৃত্যুতে শোকাবহ অফিস সহায়ক’রা একযোগে কর্মবিরতি পালন করে মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে গজারিয়ায় নিহতের বাড়িতে উপস্থিত হয় ্। সহকর্মীর হঠাৎ মৃত্যুর সংবাদে হৃদয় বিদায়ক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ষ্টমৃতের বড় ভাই আলী আহমেদ মোল্লা বলেন,আমার ভাইয়ের এক ছেলে,দুইটা মেয়ে।ছেলেটা অটিজম আক্রান্ত,বুদ্ধি প্রতিবন্ধী,আমরা এই বিচারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
অভিযুক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো:শহিদুল ইসলামকে একাধিক বার মোবাইল করে সংযোগ না পাওয়ায় মতামত নেয়া যায় নাই।

ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু বলেন,ছেলেটা আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা, অনেক ভাল একটা ছেলে ছিল,ঘটনাটা শুনে মর্মাহত হয়েছি।