প্রকাশিত,১৭,নভেম্বর
সঞ্জিব দাস,গলাচিপা পটুয়াখালী প্রতিনিধি
গঙ্গা স্নান এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দুইশো বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস মেলার আনুষ্ঠানিকতা। কুয়াকাটার ১৮ কিলোমিটার সৈকত জুড়েই ছিল এ উৎসব। দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে আসা লাখো পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর মিলন মেলায় মুখর হয়ে ওঠে সৈকত এলাকা।
গঙ্গার পুজা অর্চনা, প্রার্থনা ও স্নান করে পরিবার, দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভোরে সূর্যদয়ের মূহুর্তে পূণ্যস্নানের জন্য সৈকত নামেন হাজার হাজার পূণ্যার্থী। মোমবাতি, আগরবাতি, কলা, তেল ও সিঁদুর সমুদ্র জলে অর্পণ করেন সনাতনী নারীরা। এসময় উলুধ্বনি ও ভগবত গীতা পাঠে মুখরিত হয় ওঠে পুরো সৈকত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জানান, পূর্ণিমার জোয়ারে গঙ্গাস্নানের মাধ্যমে তাদের পূর্বের পাপ মোচন হয়ে যায়। তাই রাসে গঙ্গায় পুণ্যস্নান করে পাপ মোচন এবং দেশ ও জাতির জন্য আশির্বাদ করেন তারা।
সানতন ধর্মাবলম্বীদের দুশো বছেরর পুরনো রাস মেলা এখন কেবল ধর্মীয় উৎসবে সীমাবদ্ধ নয়। এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। তাই পূণ্যার্থী ছাড়াও পূণ্য স্নানের অনুষ্ঠান দেখতে ভির জমায় দর্শনার্থী। লাখো পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর মিলন মেলায় মুখর হয়ে উঠে গোটা সৈকত এলাকা। এই উৎসব অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাগ্রত করে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
লক্ষাধিক পর্যটকের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া তিন দিন ব্যাপী এ রাস মেলা সমুদ্রের নোনা জলে পূণ্যস্নানের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। সনাতন ধর্ম মতে, দাপর যুগে কংশ রাজাকে বস করে রাধাকৃষ্ণের প্রেম থেকেই শুরু রাসলীলা। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে প্রায় ২০০ বছর ধরে এ উৎসব উদযাপন হয়ে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :