প্রকাশিত,৩০, জুন,২০২২
জাহাঙ্গীর আলম মুকুল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া নামক স্থানে বৃহস্পতিবার (৩০)জুন ভোর ৪ টায় মহারাজ পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর সহযোগিতায় সুন্দরবন থেকে নিষিদ্ধ বিষ দিয়ে আহরণকৃত ১৫০০ কেজি চিংড়ি মাছ ও ৮ জনকে আটক করেছে কয়রা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান তার এলাকা দিয়ে বিক্রয় নিষিদ্ধ বিষ দিয়ে আহরণকৃত সুন্দরবনের চিংড়ি মাছ অধিকাংশ রাতে গাড়ী দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় যায় বলে তার এলাকার লোকজন তাকে জানান তারই প্রেক্ষিতে এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে মান্দারবাড়ীয়া নামক স্থানে সারা রাত ধরে পাহারা দেয়। এবং ভোর ৪ টার দিকে ২টি নছিমন গাড়ীসহ ১৫০০ কেজি চিংড়ি মাছ ও ৮ জনকে
আটক করে, প্রশাসন কে খবর দেয়।
বিষ দিয়ে ধরা চিংড়ি মাছ কেরোসিন দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে পুতে বিনষ্ট করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্ষন্ত আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম, কয়রা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, কয়রা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মােঃ আমিনুল হক সহ মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা বৃন্দ। কয়রা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মােঃ আমিনুল হক বলেন, জুন মাস থেকে ৩ মাস সুন্দরবনের সকল প্রকার মাছ আহরন নিষিদ্ধ ঘােষনা করা হয়েছ।
থ
তার পরেও নিষেধাক্ষা অমান্য করে যারা সুন্দরবন থেকে মাছ আহরন করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত রয়েছেথ।সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ গুলোর মধ্যে মাছ অন্যতম। সুন্দরবনের বুকের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদী ও খালের প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। জেলে ও এক শ্রেনীর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রকার নিষিদ্ধ জাল ও কীটনাশক ব্যবহার করে মাছ আহরন করে থাকে। উক্ত কারণে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে যে সমস্ত নদ-নদী ও খাল রয়েছে সে সমস্ত নদ-নদী ও খালের আহরণের উপযোগী মাছ ব্যতীত সকল মাছের রেনু, পোনার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। কিছু কুচর্ক্রী জেলে মহল সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে অবৈধ কীটনাশক ব্যবহার করে সকল প্রকার মাছের রেনু, পোনার ব্যাপক ক্ষতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট করছে।
আপনার মতামত লিখুন :