

প্রকাশিত,২৫,ডিসেম্বর,২০২৩
মোঃ আতাউর রহমান
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুর জেলা খানসামা উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম জাতের আলু তুলতে ধুম পড়ছে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার মাঠে ঘাটে আলু চাষীদের । দাম ভালো পাওয়ার আশায় আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পাড় করতেছে আলু চাষীরা। প্রতি বছরে দাম ভালো পাওয়ার আশায় এবার হেক্টর হেক্টরে চাষ করা হয়েছে আলু। গত মৌসুমে চেয়ে এবার আলু ফলন ভালো হলেও দাম পেয়ে খুশি আলু চাষীরা। আলুর বাম্পার ফলন হলেও বাজারে মিলছে নেয্য মূল্য।
দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের আলু চাষীদের সাথে কথা বলতে গেলে মোঃ ফয়জার রহমান, নুর ইসলাম (বাবু) ও মোস্তফা বলেন আলুর বাম্পার ফলন হলে আমরা আলুর নেয্য দামে বিক্রি করতে পারছি। আমাদের বিঘা প্রতি আলু চাষে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার থেকে ৪৪ হাজার টাকা।তারা বলেন আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকার এবার সেচ দিতে হয়েছে ২/৩ টা। আর আমরা আলু বিক্রি করতে পেড়েছি প্রতি কেজি আলু দাম মাত্র ৪৪ টাকা করে বিক্রি করছি পাইকারের কাছে । এতে আমাদের লাভ হয়েছে সিমিত আসল টাকায় ঘরে তুলতে পারতেছি । আলু তুলতে শ্রমিক দের দিতে হয়েছে মহিলাদের দিন হাজিরা ২৫০ টাকা আর পুরুষদের দিন হাজিরা ৫০০ টাকা করে।
আলু ব্যবসায়ীরা বলেন এখানে আমরা আলু কিনছি ৪৪টাকা । আমরা ট্রাক লোড করে ঢাকা, খুলনা,যশোর বিভিন্ন স্হানে আলু পাঠাই। সেখানে বাজার যদি ভালো পাই তাহলে লাভ হবে সামান্য। তার মধ্যে গাড়ী ভাড়া, আড়ত দ্বারি, কুলি খরচ আরো ইত্যাদি খরচ হয়। লাভ হয় কম সংখ্যাক তাই আমরা বেশি দামে আলু কিনতে পারছি না। কাঁচা মালের দাম কখনো বেমি আবার কখনো কম থাকে।
দিনাজপুর জেলায় খানসামা উপজেলায় বেশি ভাগ আগাম জাতের আলুর মধ্যে সেভেন, সিটি,হলেন্ডার, কেরেজ ও বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়।
দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার ৬নং গোয়ালডিহি ইউনিয়নের ইউ পি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ সাখওয়াত হোসেন লিটন বলেন
আগামী বছরের তুলনায় এবার আলু চাষ কম হয়েছে। এতে যদি
দিন দিন আলুর দাম কমতে থাকে লোকসানে পড়বে আলু চাষীরা। কারণ এবার যে সব কিছু দ্রব মূল্যের দাম বেশি। এভাবে লোকসানের পড়লে আগামী বছরে আলু চাষ আরো কমে যাবে বলে আমি মনে করি।






















আপনার মতামত লিখুন :