ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, খাদ্য সংকটে অসহায় জবি ক্যাম্পের কুকুরগুলো।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৭-০৯, ১০:৪২ অপরাহ্ন /
ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, খাদ্য সংকটে অসহায় জবি ক্যাম্পের  কুকুরগুলো।

প্রকাশিত,০৯,জুলাই, ২০২৪

আহমদ জুবায়ের , জবি প্রতিনিধি

শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সকল ক্লাস, পরিক্ষা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যান্টিনটিও। ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছে ক্যাম্পাসে বসবাসর করা কুকুরগুলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসে ২০ এর অধিক কুকুর রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বেড়ে ওঠা এই ক্যাম্পাসে। কুকুরগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় ভুমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেওয়া ও ক্যান্টিনের উচ্ছিষ্ট খাদ্যই কুকুরগুলো জীবনধারণের একমাত্র উপায়।

শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির চলমান থাকায় ক্যান্টিন ও শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কোন খাদ্যই পাচ্ছে না কুকুরগুলো। ক্যাম্পাসের বাইরেও তাদের জন্য যথোপযুক্ত খাদ্য ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসের কুকুরগুলো খাদ্য সংকটে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে একাধিক কুকুরকে অসুস্থ অবস্থায়ও দেখা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জবি প্রশাসন সপ্তাহের শুক্রবার ও শনিবার এই দুদিন কুকুরগুলোর জন্য অল্প কিছু খাবারের ব্যবস্থা করেন। অল্প খাদ্যের যোগান এ অবস্থা নিরসনে যথাযথ নয়। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বাকি দিনগুলোতেও খাবার পাচ্ছে না কুকুরগুলো। এতে চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে তারা।

এবিষয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৭ তম আবর্তনের শিক্ষর্থী রেজওয়ান মারুফ বলেন,ক্যাম্পাসের কুকুরগুলো সাথে শিক্ষার্থীদের সখ্যতা প্রবল। তারা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখে। তাদের খাদ্য সংকট চলমান থাকলে মৃত্যু হতে পারে কুকুরগুলোর।

দর্শন বিভাগের ১৮ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, আমি ক্যাম্পসে অবস্থান করলে কুকুরগুলো সাথে আনন্দের মূহুর্তে অতিবাহিত করি। কিন্তু সম্প্রতি খাদ্যসংকটে তাদের অবস্থা আমাকে বিচলিত করেছে। আমি সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করলোও তা যথোপযুক্ত না। এ অবস্থা পরিত্রাণের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসা উচিত।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমাদের উপাচার্য ক্যাম্পাসের কুকুর বিড়ালসহ উপকারী জীব সংরক্ষণে বিশেষ ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছেন। সম্প্রতি শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে যে খাদ্য সংকটময় অবস্থা তৈরী হয়েছ তা খুব দ্রুততার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরসন করবে।

###আহমেদ জুবায়ের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়