কোম্পানীগঞ্জে স্থায়ী আদেশাবলী বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন—দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিত প্রস্তুতির আহ্বান।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৫-০৪-১৭, ১২:১২ পূর্বাহ্ন /
কোম্পানীগঞ্জে স্থায়ী আদেশাবলী বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন—দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিত প্রস্তুতির আহ্বান।

প্রকাশিত
নোমান আহমেদ(সিলেট) কোম্পানীগঞ্জ:-

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে “স্থায়ী আদেশাবলী” বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিজুন নাহার। এতে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তরপ্রধান, ছয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা, থানা প্রতিনিধিগণ, স্থানীয় সাংবাদিক, স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষকগণ এবং বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই ওরিয়েন্টেশনের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের “সুপ্রিম এশিয়া প্রকল্প”। সদস্য সচিব হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান শাওন ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালে আপডেটকৃত স্থায়ী আদেশাবলীর উদ্দেশ্য, গুরুত্ব ও বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক মোঃ ওহিদুল ইসলাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন নাহার তার বক্তব্যে আসন্ন বন্যা মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “২০২২ সালের মতো যেন বন্যায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, এজন্য সবাইকে আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রতিটি সরকারি দপ্তর এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে নিজ নিজ পরিকল্পনা অনুযায়ী সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।”

আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তারা বন্যার সময় নৌকা সংরক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার উপর জোর দেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানির ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে এবং প্রয়োজনে তা সরবরাহ করা হবে।

অন্যদিকে, কৃষি কর্মকর্তা হাওরের পাকা ধান দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দেন এবং হারভেস্টারের ব্যবস্থার কথা জানান। পশ্চিম ইসলামপুর উত্তর, রনি খায় ও পূর্ব ইসলামপুরের চেয়ারম্যানরা পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধক সেতু ও খাল চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, বন্যার সময় যেন স্কুল ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সেজন্য চাবি ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থায় নজর দিতে হবে।

ইউএনও সকলের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং আশ্বাস দেন যে, বন্যাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত নৌকা সরবরাহ, প্রতিবন্ধক খাল ও সেতু উন্মুক্তকরণসহ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এই ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি, সমন্বিত পরিকল্পনা ও স্থায়ী আদেশাবলী বাস্তবায়নে একটি শক্তিশালী বার্তা প্রদান করা হয়েছে—সবাই একসাথে কাজ করলে দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।