কালীগঞ্জে ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামী রিমনকে কুপিয়ে হত্যা।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-০৮-২৬, ৮:৪৪ অপরাহ্ন /
কালীগঞ্জে ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামী রিমনকে কুপিয়ে হত্যা।

প্রকাশিত,২৬,আগস্ট

মোঃ মুক্তাদির হোসেন।
স্টাফ রিপোর্টার।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে কালীগঞ্জের সাবেক এমপি মোখলেছুর রহমান জিতু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামী সন্ত্রাসী মো. তৌহিদুল ইসলাম রিমনকে (৩২) পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাতাব উদ্দিন। নিহত তৌহিদুল ইসলাম রিমন কালীগঞ্জ পৌরসভার ভাদগাতী এলাকার সাইদুল ইসলাম ওরফে মোসলেহ উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে। ঘটনাটি রোববার বিকেলে কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের খঞ্জনা এলাকায় ঘটেছে। তার নামে হত্যা, অস্ত্র, ছিনতাই, মাদকসহ অন্তত ৬টি মামলা রয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় জানা যায়, রবিবার (২৫ আগষ্ট) বিকেলে কালীগঞ্জে সাবেক এমপি মো. মোখলেছুর রহমান জিতু মিয়ার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামী দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী রিমন দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অটোরিকশা নিয়ে খঞ্জনা এলাকা আসে। সে সময় খঞ্জনা গ্রামের মৃত রকমানের ছেলে মো. সাত্তার (৩৫), মো. আল আমিন (৩৮), শুকুর আলীর ছেলে মো. মাসুদ (৪০), ফারুলের ছেলে মো. আরিফুল (৩৫) সহ অজ্ঞাত ৫/৭ জন রিমনকে আটকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে পার্শ্ববর্র্তী উত্তরগাঁও কুমারটেক গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে আলী হোসেন (৩৫), বক্তারপুর টেংরাটির রহম উদ্দিনের ছেলে রকমত উল্লাহ্ (২৬) ও নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থানাধীন কলিঙ্গা গ্রামের ফেকুন এর ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৪০) জড়ো হয়ে এক পর্যায়ে রিমনকে টেনে হেঁচড়ে অটোরিকশায় তুলে কুমারটেক তালতলা এলাকায় নিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থাণীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজীনা আফরিন তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। রাত ৮টার দিকে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান নিহত রিমনের লাশ উদ্ধার করেন। সোমবারে ময়নাতদন্ত শেষে বাদ মাগরীব স্থাণীয় হযরত শাহ্ বায়েজীদ মাজার সংলগ্ন ঈদগাঁহ্ মাঠে জানাযার নামাজ আদায় করে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় মো. তৌহিদুল ইসলাম রিমন এর স্ত্রী রুমা আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৭ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
নিহত রিমনের পিতা মোসলেহ উদ্দিন মাষ্টার জানান, রিমন রবিবার বিকালে কালীগঞ্জ থেকে বাড়ীতে আসার পথে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী মো. সাত্তার, মো. আল আমিন, মো. মাসুদ, মো. আরিফুল, আলী হোসেন, রকমত উল্লাহ্ ও মো. মোশারফ হোসেন সহ অজ্ঞাত ৫/৭ জন সন্ত্রাসীরা গতিরোধ করে হাত পা বেধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা শেষে অটোরিকশা দিয়ে পার্শ্ববর্তী কুমারটেক এলকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, মো. তৌহিদুল ইসলাম রিমন এর স্ত্রী রুমা আক্তার বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৭ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। তার নামে কালীগঞ্জ থানায় অস্ত্র, হত্যা, ধর্ষন ও মদকসহ ৬ টি মামলা রয়েছে। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।