কামরাঙ্গীরচরে লিটন”সাদেক বাহিনীর বেপরোয়া চাঁদাবাজি আতঙ্কিত সর্বসাধারণ !


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৮-১৫, ৩:৫৮ অপরাহ্ন /
কামরাঙ্গীরচরে লিটন”সাদেক বাহিনীর বেপরোয়া চাঁদাবাজি আতঙ্কিত সর্বসাধারণ !

প্রকাশিত,১৫, আগস্ট,২০২৩

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে,শুধু কামরাঙ্গীরচর নয়, আশপাশে লালবাগ,এমনকি হাজারীবাগেও করে যাচ্ছে চাঁদবাজি এই বাহিনীর প্রধান হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে যারা, লিটন নন্দিনী, সাদেক, হাকিম ভান্ডারী, এই বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে যে সকল কর্মকান্ড কামরাঙ্গীরচরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ, রিক্সার গ্যারেজে চাঁদাবাজি ও মাদক, ক্ষমতাসীন দলের নাম্বার দিয়ে, লিটন,সাদেক,হাকিম,মকবুল বাবুল, স্বপন হায়দার,ওরা সকলেই রিক্সার গ্যারেজ মালিক গ্যারেজের ভিতরে ড্রাইভারদেরকে দিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক আনা নেওয়া করে ইয়াবা ফেনসিডিল গাঁজা এই সিন্ডিকেটের কারণে বর্তমান সারা কামরাঙ্গীরচর গ্যাস বন্ধ রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
 
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় কয়েক ডজন জিডিও রয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি এই বাহিনী।

কামরাঙ্গীরচরের শীর্ষ চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ী লিটন নন্দিনী,সাদেক,হাকিম ভান্ডারীর কাছে।থানা পুলিশ-কারাগার তাদের কাছে ডাল-ভাত মনে করে এলাকাবাসীকে হুমকির উপরে রাখে। ওদের চাঁদাবাজির একটি বিশাল গ্রুপও গড়ে ফেলেছেন। চাঁদাবাজির পাশাপাশি দখলবাজিতেও কম জোর নয় তারা তিতাস কোম্পানি গ্যাস সংযোগ দেওয়া লাগে না ওরাই তিতাস কোম্পানি।
 
স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, চাঁদাবাজ হিসেবে লিটন নন্দিনী,সাদেক, হাকিম ভান্ডারী কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি আতঙ্কের নাম। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে নতুন কেউ বাড়ি করতে গেলেও তাদের চাঁদা দিতে হয়।
 
বর্তমানে লিটন নন্দিনী, সাদেক, হাকিম ভান্ডারী, তাদের সহযোগীরা এলাকায় বেপরোয়া মানছে না পুলিশ প্রশাসন কেউ দেখাচ্ছে বুদ্ধাঙ্গুল। তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী জনসাধারণ।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়,লিটন নন্দিনী, সাদেক, হাকিম ভান্ডারী বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকেও আক্রমণ করার অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী স্থানীয় অনেকেই বলেন, অনেকেরই অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকবার পুলিশ হুশিয়ার করেছে। কিন্তু কয়েকদিন বন্ধ রেখে ফের আবারো অপকর্ম শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন আগে লিটন নন্দিনী, সাদেক, হাকিম ভান্ডারী মিলে রফিকুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগীর ৪৬ শতাংশ জমি বিক্রি করেন ভয়ভীতি দেখিয়ে।

৮ বছর ধরে দফায় দফায় অসহায় বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।সম্প্রতি এই চক্রটি পরিকল্পিতভাবে দলবল নিয়ে রাতে কৌশলে কামরাঙ্গীরচরের স্থানীয় মনিরুলে বাড়িতে জোর করে ঢুকিয়ে তার বাড়ি দখলে নেওয়া চেষ্টা করে।

এছাড়া কামরাঙ্গীরচরের ম্যাচ ফ্যাক্টরি, ব্যাটারিঘাট, বড়গ্রাম, রূপনগর এবং কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন ও কামরাঙ্গীরচর নতুন বিদ্যুৎ অফিস এলাকায় প্রায় ১০ একর সরকারি খাসজমি দখল হয়ে গেছে ওদের নিয়ন্ত্রণে।
 
গত বছর এই বাহিনীর অত্যাচারে কামরাঙ্গীরচর থানার পুলিশ সদস্য মজিবুর রহমান সবজি কেনার জন্য বাজারে গেলে রাস্তার উপর মোটরসাইকেল দেখেন। এতে অনেক ক্রেতার সমস্যা হচ্ছিল। তিনি মোটরসাইকেল সরাতে বলায় লিটন নন্দিনী, সাদেক, হাকিম ভান্ডারীর বাহিনীর সদস্য আনু ব্যাপক মারধর করে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

 চাঁদার দাবিতে হুমকি প্রদান করায় মুফতি মিয়া ও অপর আরেক ব্যবসায়ীও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া আজমল ও মিজান নামের ব্যক্তিও তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।
এর মধ্যে মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, তার নতুন বাড়ি তৈরি করছিলেন অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার জন্য এবং ভুক্তভোগীদের নিকট চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে হত্যা করা হবে এমন হুমকিও দেন লিটন নন্দিনী, সাদেক, হাকিম ভান্ডারী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে কামরাঙ্গীর এলাকায় মাদক ব্যবসা, অবৈধ গ্যাস সংযোগ,চাঁদাবাজির বিশাল একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন, ওই বাহিনী মাঝে মাঝে তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও করে কেননা পুলিশ বাহিনীর প্রধান শত্রু।
 
স্থানীয়রা বলেন,এমন কোনো অপকর্ম নাই যে ওরা করে না। তাদের বিরুদ্ধে এলাকার শত শত মানুষের অভিযোগ রয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে লিটন নন্দিনী, সাদেক, হাকিম ভান্ডারী ব্যবহূত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।